মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসেও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপর সর্বোচ্চ জুলুম করছে সরকার। চেয়ারপারসনকে তিলে তিলে শেষ করে দিতেই এই স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জামিনযোগ্য মামলায় তাঁকে জামিন দেয়া হচ্ছে না।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন দেয়ার পরও কিভাবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ একজন বয়স্কা নারীকে কারাগারে আটকে রেখে কষ্ট দেয়া হচ্ছে তা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছে। তাঁকে চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। নতুন নতুন মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় তাঁকে আটক দেখানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায় ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ। দিন দিন তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তিনি হাত ও পায়ের ব্যথায় প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছেন। ব্যথার কারণে হাঁটতে পর্যন্ত পারছেন না। তিনি ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছেন না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যেসব মামলায় জামিনে ছিলেন, সে সব মামলায়ও গ্রেফতার দেখাতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। কিভাবে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রেখে আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো প্রহসনের আরেকটি নির্বাচন করা যায়, সরকার সেই ফন্দিফিকির করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই নিজের নানান কীর্তির কথা বর্ণনা করেন। তার কৃতিত্বের মধ্যে অন্যতম হলো, রমজানে দেশব্যাপী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষকে দিশেহারা করা। বাজার নিয়ন্ত্রণে ১২টি সংস্থাকে নাকি নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের জন্য তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এছাড়া ঢাকা শহরে অধিকাংশ সময় ও দেশের প্রান্তিক এলাকাগুলোয় গ্যাস থাকেই না বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, আবারও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেটিরই আভাস পাওয়া যাচ্ছে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে।
সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে, বিএনপিকে মাইনাস করে নির্বাচন করবেন, সেই প্রহসন আর এ দেশে হতে দেয়া হবে না। এ দেশে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে থাকবেন বেগম খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দিবে না।
রিজভী আহমেদ বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট কেলেঙ্কারীর আরেকটি নতুন মডেল জনগণ প্রত্যক্ষ করল। এই নতুন মডেলের ভোট ডাকাতির আবিষ্কারক শেখ হাসিনা। সুতরাং ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা ও সুষ্ঠু ভোট পরস্পরের প্রতিপক্ষ। তাই শেখ হাসিনার অধীনে কখনোই কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে পারে না।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ