নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের দ্বিতীয় বৈঠক ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় চলছে। দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ মাঠপর্যায়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করে থাকে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে গত বছরের ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়।
ওই চুক্তি মোতাবেক এক মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ জন্য মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাবকে দায়ী করছেন অনেকে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্র এখনও প্রস্তুত নয়। তাই তাদের ফেরত পাঠানো শুরু করা যায়নি।’
তিনি জানান, মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশ প্রথম দফায় ৮ হাজার ৩২ জনের তালিকা পাঠিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মিয়ানমার ৮৭৮ জনের নামের তালিকা যাচাই সম্পন্ন করেছে। মিয়ানমারে দমনপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের ওপর চাপ জোরদার করা উচিত বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি