২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:৪৭

স্বামীর পরকীয়ার ও নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী-ছেলের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক গৃহবধূ তার পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়া ও নির্যাতনের অভিযোগে শিশু সন্তানকে নিয়ে শহরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্যে মানববন্ধন করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ওই গৃহবধূ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের `স্মৃতিসৌধ-৭১’ অবস্থান গ্রহণ করেন। এসময় তার একমাত্র সন্তান আনন্দ (৪) সাথে ছিল।

গৃহবধূ রিতা আক্তার পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল আজিজের স্ত্রী। আব্দুল আজিজ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুয়াটোবা গ্রামের আব্দুছ ছাত্তারের ছেলে। তিনি এখন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত।

গৃহবধূ রিতা আক্তার জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে থেকে তার স্বামী আব্দুল আজিজ তাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি থেকে নগদ সাড়ে তিন লাখ ও কমপক্ষে তিন লাখ টাকার আসববাপত্র যৌতুক হিসেবে এনে দেন। আগে কনস্টেবল থাকলেও তিনি সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে পদোন্নতি  পেয়েছন।

এরপর পুলিশ স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে আবারও লাঠিসোটা দিয়ে মারধোর, শীতকালে রাতের পর রাত ভেজা কাপড় গায়ে জড়িয়ে দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা, খাবার খেতে না দেয়াসহ নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে। পরকীয়ায় বাধা দিলে খুন করে লাশ গুমেরও হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না দেখে গৃহবধূ পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করেন। সেখান থেকে অত্যাচার না করার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আসেন তার স্বামী।

গত বছরের ১৫ মার্চ অভিযুক্ত স্বামী তার বাড়ি চাঁদপুরে নিয়ে আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। তা দিতে না পারলে সংসার না করার হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে তার পিত্রালয় বর্তমান গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। গৃহবধূ নিজে এবং তার সন্তানকে ভরনপোষন করতে পারছেন না। গৃহবধূ আবারও পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযাগ করেন। এদিকে যৌতুকের দাবী থেকে রক্ষা পেতে ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে তিনি বিচার প্রার্থনা করেন।

এ ব্যাপারে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল আজিজ মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। আজকাল স্ত্রীলোকের সঙ্গে সামান্য সমস্যা হলেই তারা যৌতুকের অভিযোগ তোলে। এসব বিষয়ে পুলিশ বিভাগ তদন্ত করছে। তদন্ত প্রতিবেদনেই প্রমাণ পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত ২০০৯ সনে তাদের বিয়ে হয়। গৃহবধূর স্থায়ী ঠিাকানা ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা গ্রামে। গৃহবধূ বর্তমানে তার বাবা মায়ের সাথে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া গ্রামে বসবাস করছেন।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মে ১৭, ২০১৮ ১:৩৫ অপরাহ্ণ