নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকার ধামরাইয়ের বাউখন্ড গ্রামে অপহরণের পর দশম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুধু তাই নয়। গণধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করেছে ওই ধর্ষকরা। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করলে ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকিও প্রদান করা হয়। এঘটনায় মেয়েটি লজ্জায় স্কুলে আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
বুধবার বিকালে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ গভীর রাতে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ধর্ষককে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাউন্নারা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাউখন্ড নিজের বাড়ির পাশের পুকুরে বিকেলে গোসল করতে যায়। এসময় পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা ৫ বখাটে যুবক ওই স্কুলছাত্রীকে পুকুর থেকে তুলে নিয়ে মুখ বেঁধে অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ওই স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই ৫ বখাটে যুবক। এতে ওই স্কুলছাত্রী রক্তাক্ত হয়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। এ ধর্ষণের দৃশ্য তারা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে। অবস্থার বেগতিক বুঝতে পেরে বখাটেরা ওই ছাত্রীকে পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ সময় ধর্ষক শাহিনুর ইসলাম(১৭), হাবিবুর রহমান হাবু(১৬), আব্দুল হালিম(৪০), জাহাঙ্গীর আলম(৩৫) ও দেলোয়ার হোসেনকে(৩৫) অর্ধনগ্নবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখে প্রত্যক্ষদর্শীদের মনে সন্দেহ হয়। ফলে তারা ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে গিয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধামরাইয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওই স্কুলছাত্রী জানান, ধর্ষকরা ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে বলেছে এ ঘটনা কাউকে জানালে এ ধর্ষণের ঘটনা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। তাহলে আমার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায়ই থাকবেনা। আমি আমার উপর ঘটে যাওয়া পাশবিক নির্যাতনের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, গণধর্ষনের ঘটনায় ৫ ধর্ষকের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ধর্ষককে আজ রাতেই আটক করেছি, বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি