নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশালের বাকেরগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের মাথায় মল ঢেলে লাঞ্ছিতের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুইজনের পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। তাদেরকে সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছিল বাহিনীটি।
বুধবার বরিশাল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ফারুক হোসেন এই আদেশ দেন। আগের দিন তাদেরকে রিমান্ডে পাওয়ার আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ডে দেয়া দুই আসামি হলেন ১৩ এপ্রিল গ্রেপ্তার হওয়া মিনজু হাওলাদার ও বেলাল হোসেন। একই দিন গ্রেপ্তার মিরাজ হোসেন সোহাগকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিল পুলিশ, তবে বিচারক সে আবেদন গ্রহণ করেননি।
গত ১১ এপ্রিল সকালে বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া মাদ্রাসার সুপার আবু হানিফকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় একটি মাটির পাত্রে করে আনা মল ঢেলে দেয়া হয় প্রবীণ এই মানুষটির মাথায়। পরে তা হাত দিয়ে ঘষে পুরো মাথায় মেশানো হয়।
এ সময় আবু হানিফকে হুমকি দিয়ে বলা হয়- ‘এইয়া নিয়া যদি বাড়াবাড়ি করো তাহলে তোর জীবন শেষ হইয়া যাইবে’। এরপর তাকে গালাগালি করে স্থান ত্যাগ করতে বলা হয়।
পুরো ঘটনাটির ভিডিও ধারণ তরে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হলে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। আর এ নিয়ে সারা দেশেই সমালোচনার ঝড় উছে।
পরে আবু হানিফ আটজনের নাম উল্লেখ করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
হানিফ জানান আসামিরা তার মাদ্রাসার জমি দখল করার চেষ্টা করছিল। এই চক্রটি নানাভাবে বিনা অনুমতিতে মাদ্রাসার জমিতে বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছিল। এ নিয়ে তিনি মামলা করায় তারা তার ওপর ক্ষিপ্ত।
আবু হানিফ এই ঘটনার জন্য স্থানীয় জামায়াত কর্মীদেরকে দায়ী করেছেন। জানিয়েছেন তারা স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর খন্দকারকে ঘিরে একজোট হয়ে তাকে এভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
মামলার পর জাহাঙ্গীর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। বরিশালের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, বাকি আসামিদের অল্প সময়ের মধ্যে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এই ঘটনার ভিডিও চিত্র পাওয়ায় বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা এও বলেছেন, এর পেছনের ঘটনাও জানতে পেরেছেন তারা।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর