নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রদূত একমত পোষণ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা ও কোলাবরেশন আরো সম্প্রসারিত হবে। তিনি বলেন, আগামী এক বছরে (চলতি বছরের জুলাই থেকে জুলাই ২০১৯) চীন বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরএক হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশে নিযু্ক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুও এ আগ্রহের কথা জানান।
সাক্ষাতের সময় উভয়ে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে চীন বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছে। মানবৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষকরাও আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি ও প্রযুক্তির উপর চীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।’ শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘চীন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। বর্তমানে পাঁচশরও বেশি কারিগরি শিক্ষক পর্যায়ক্রমে চীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘চীনের বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা চীনে পড়াশুনা করছে। গত বছর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৩৫০ জন শিক্ষার্থী কারিগরি বিষয়ে পড়াশুনা করতে চীনে যায়।’ কারিগরি শিক্ষাক্ষেত্রে এ সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সার্বিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতা রয়েছে। এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে।’ শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রদূত একমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুও বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা ও কোলাবরেশন আরো সম্প্রসারিত হবে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী একবছরে (জুলাই ২০১৮ থেকে জুলাই ২০১৯) চীন বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দীন খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। চীনা প্রতিনিধিদলে দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর মিজ সুন ইয়ান, এটাশে ঝা মিনগুয়েই এবং মিজ হু ঝাইং উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ