২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:০৬

সন্ত্রাসী কর্ম ছাড়া আওয়ামী নিশানে হাওয়া লাগে না : রিজভী

মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ- খুলনা সিটি করপোরেশনের ‘শেখ হাসিনা মার্কা’ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগ দাবি করেছেন।

রিজভী বলেন, ভোট-ডাকাতি, ভোট-সন্ত্রাস, জাল ভোট, ভোটকেন্দ্র দখল, অবৈধ অস্ত্রের আস্ফালন এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়া আওয়ামী লীগের বিজয় নিশানে হাওয়া লাগে না। খুলনা সিটি নির্বাচনে নিরস্ত্র ভোটারদের ওপর অবৈধ সরকারের অবৈধ ক্ষমতার প্রদর্শন হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান।
রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীদের বাধা ও সন্ত্রাসী হামলার মুখে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের অধিকাংশকেই কেন্দ্র থেকে ভোট দিতে না পেরে ফিরে যেতে হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা নেই, সামর্থ্য নেই, যোগ্যতাও নেই। নির্বাচনে এক নজিরবিহীন ভোট-ডাকাতির দক্ষযজ্ঞ জনগণ প্রত্যক্ষ করল। ভোট দিতে গিয়ে ধানের শীষের ভোটার ও সমর্থকেরা যেভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, তা কোনো সুস্থ নির্বাচন পদ্ধতি হতে পারে না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার লজ্জায় গণমাধ্যমের সামনে না এলেও ইসি সচিব গণমাধ্যমকে বলেছেন, খুলনায় চমৎকার ও শপ্রন্তপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। উনি ঠিকই বলেছেন, উল্লিখিত ভোটের পরিবেশই হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা মার্কা’ নির্বাচন। যে নির্বাচনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে বাবার সঙ্গে ভোট দিতে পারে, কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই ভোটারদের ভোট দেয়া হয়ে যায়, পুলিশের সহায়তায় ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট-ডাকাতির উৎসব চলে, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ব্যালট পেপার আগেই শেষ হয়ে যায়, কেন্দ্র দখল করে আধা ঘণ্টায় ১ হাজার ২০০ ভোট দেয়া হয়, ভোট কেন্দ্রের বাইরে মুখোশধারীরা বাছাই করে করে কেন্দ্রে ঢোকানোর পর ভোট নেয়া হয়, কেন্দ্র দখল করে লাইন ধরে জাল ভোটের উৎসব চলে, সে রকম নির্বাচনকে তো ‘চমৎকার’ বলবেনই নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ৬৫ শতাংশের ওপরে বললেও রিজভী দাবি করেন, সেখানে মূলত ভোটার উপস্থিতি ছিল ৩০ শতাংশেরও কম।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :মে ১৬, ২০১৮ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ