নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে রাজপথ ছেড়ে গেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে তারা। আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারা।
এদিকে আজ দুপুর থেকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগের রাস্তা অবরোধ করায় চারদিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা। এছাড়া একদিকে মতিঝিল ও অন্যদিকে নিউমার্কেট পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে।
দুপুর থেকে আন্দোলনকারীরা প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন ‘প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে টালবাহানা চলবে না, আমাদের আন্দোলন চলছে চলবে স্লোগানে চলছে শাহাবাগে কোটা সংস্কার আন্দোলন।’
আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন জানান, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকার চাইলে কোটা বাতিল কিংবা আমাদের পাঁচ দফার ভিত্তিতে কোটা সংস্কার করতে পারে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে তালাও দেয়া হয়। দফায় দফায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। এরপরই সড়ক অবরোধে করে ফেলেন আন্দোলনকারীরা।
গত ৮ এপ্রিল থেকে টানা পাঁচদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এই প্রজ্ঞাপনের দাবিতেই এখন আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর