২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:২০

স্যাটেলাইট তৈরিতে তিনগুণ বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে : খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তিনগুণ বেশি টাকা দিয়ে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, এ যুগে স্যাটেলাইট একটা প্রাইভেট কোম্পানিও পাঠাতে পারে। সুতরাং স্যাটেলাইট নিয়ে সরকার মিথ্যাচার প্রচার করছে। একদিকে তারা মিথ্যাচার করছে, আর অন্যদিকে লুটপাট করছে। এই স্যাটেলাইটে বাংলাদেশের কত টাকা লস হবে, সেটা তারা (সরকার) বলছে না।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সুচিকিৎসা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, ‘মেগা প্রজেক্ট স্বৈরাচারদের খুব প্রিয় জিনিস। জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে এরা এসব মেগা প্রজেক্টের কথা বলছে। মেগা প্রজেক্টের কথা বলে দেশের উপরে এবং আগামী প্রজন্মের উপরে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে ঋণের বোঝা ছিল ৩৬ হাজার কোটি টাকা আর এখন সেটা ৬০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বৈরাচারদের কিছু সিদ্ধান্ত আছে। দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত দখল করে নির্বাচনে জয় পেতে হবে আর যেখানে দখল করতে পারবে না সেই নির্বাচন বন্ধ করে দিতে হবে। এ দ্বিমুখী সিদ্ধান্তের সঙ্গে আছে এদেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে এ দেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই নির্বাচন কমিশনের ওপর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশা করি না। এদের সঙ্গে নতুনভাবে দুদুক অংশগ্রহণ করেছে যেখানে বিরোধীদলীয় প্রার্থী থাকবে সেখানে দুদক তাদের হয়ে কাজ করবে।’

আইনি প্রক্রিয়ায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসনকে বের করা যাবে না উল্লেখ করে খসরু বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া জেলে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁকে বের করা যাবে না। কারণ যে দেশে আইনের শাসন নেই সে দেশে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কীভাবে সুষ্ঠু বিচার আশা করা সম্ভব? এজন্য আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে, রোজার পরে কী হবে, ঈদের পরে কী হবে? আসলে আন্দোলন কী বলে কয়ে আসে। আন্দোলন তার গতি পাবে, মাত্রা পাবে তার প্রয়োজন অনুযায়ী। প্রয়োজনটা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের। আমরা শুধু বিএনপির প্রয়োজনেরর জন্য কথা বলছি না। আমরা এখানে বিএনপি বৃহত্তম দল হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করছি। দেশের গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য এবং তাদের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য এ সংগ্রাম বিএনপির সংগ্রাম না, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সংগ্রাম।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, ‘আগামী দিনে আন্দোলনের ডাক যেভাবে আসবে দেশের মানুষকে সঙ্গে করে সফল করতে হবে। এখন যে আমরা প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা করছি এটা প্রথম স্টেপ মাত্র। পরবর্তী স্টেপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশের জনগণ তাদের মালিকানা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত আছে এবং আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে। এ প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় নেওয়া যাবে না। আইনের ওপর ভরসা করে, নির্বাচন কমিশনের ওপর ভরসা করে বসে থাকবেন সেটা আমাদের উচিত হবে না। আমাদের আমাদের পথ বেছে নিতে হবে। আজ দেশের মানুষের মনের অবস্থা একই; তারা সবাই একটা কিছু দেখতে চায়।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :মে ১৪, ২০১৮ ৫:০১ অপরাহ্ণ