কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী বহনকারী বাস, স্টাফ বাসসহ বেশ কয়েকটি বাসে হামলা চালিয়েছেন কুমিল্লা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রবিবার বিকাল ৫টার বাসবহর শহরের পুলিশ লাইন এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতিতেই এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী। এসময় আহত হয় কমপক্ষে ১২ জন। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ৪-৫ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে মানববন্ধন হয় নগরীর কান্দিরপাড়ে। ওই সময় সরকারি কলেজের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর সাথে মানববন্ধনে অংশ নেয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরেই বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো শহরে পুলিশ লাইন এলাকায় পৌঁছালে নিকটস্থ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধ-শতাধিক নেতাকর্মী রড-লাঠি-রামদা নিয়ে কুবি শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসের ওপর হামলা করেন।
শিক্ষার্থীরা দৌড়ে এদিক-সেদিক ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আহতদের কয়েকটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা ফিন্যান্স বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের বাসে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ছেলেরা হামলা করে। এসময় পুলিশ এসে হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ও টিয়ারশেল ছুঁড়তে থাকে।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ ধরেও নিয়ে গেছে বলেও ঐ শিক্ষার্থী জানান।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। আমাদের কোনো শিক্ষার্থী আটক থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে মামলা করার বিষয়েও কথা চলছে।