আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ রাজধানী জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরানো নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। পুরো বিশ্বের হুশিয়ারি উপেক্ষা করে আজ সোমবারই তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে নিজেদের দূতাবাস সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দূতাবাস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান বর্জন করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বেশির ভাগ রাষ্ট্র। এ পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছে রাশিয়া।
৭০ বছরের মার্কিন ঐতিহ্য ভঙ্গ করে গত বছরের ডিসেম্বরে দূতাবাস সরানোর ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে দূতাবাস সরানোর পরিকল্পনায় সর্বাত্মক প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনিরা। লেবাননে ফিলিস্তিন সমর্থক একটি গোষ্ঠী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
এদিকে দূতাবাস সরানোর আগে গাজা ও পশ্চিম তীরে সেনা সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানায়, উদ্বোধন উপলক্ষে ইসরাইলের আয়োজিত একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান বর্জন করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের রাষ্ট্রদূতরা। যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়া, মিসর ও মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতেরাও।
সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস উদ্বোধন হলেও রোববার সন্ধ্যা থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসব আয়োজনের একটি হচ্ছে এই অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান। এতে যোগ দিতে মার্কিন প্রতিনিধি দল ইসরাইলে পৌঁছেছে। ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার এ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রয়েছেন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন এবং কংগ্রেসের ১২ সদস্য।
২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বুধবার জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এতে বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। রোববারের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে ইসরাইলে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের ৮৬ জন রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তবে এর মধ্যে মাত্র ৩০ জন আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তটির বিরোধিতাকারী দুটি দেশও রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে হাঙ্গেরি ও চেক রিপাবলিক। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। রাশিয়া, মিসর ও মেক্সিকোও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে না। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে গোটা ইসরাইলি মন্ত্রিসভা উপস্থিতি থাকবে। নেসেট কমিটিগুলোর সভাপতিরা, নেসেট পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক কমিটির সদস্য এবং এমকে জোটের বাকি অংশও যোগ দেবে।
অর্থাৎ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের অনেক সদস্যও থাকছেন। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত করা হলেও সোমবার দূতাবাসের উদ্বোধনের দিন বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এদিন তাদের আমন্ত্রণের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের।