নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে পানি সংকট নিয়ে ক্যাম্পাসে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পানি সংকট নিরাসনের দাবিতে প্রকৌশল অফিস ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আবাসিক হলের ছাত্রীরা।
শনিবার সকাল থেকে প্রকৌশল ভবন ঘেরাও করে রাখেন ছাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র ও খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা জানায়, প্রায় একমাস ধরে তারা পানি সংকটে ভুগছে। গত সপ্তাহ থেকে এ সংকট আরো প্রকট আকার ধারন করেছে। সঠিক ভাবে পানি সরবাহ না থাকায় খাবার পানিসহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। এছাড়া পানির পাইপ ঠিক মত পরিষ্কার না করায় অনেক ছাত্রী পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পানির সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে হল প্রভোষ্ট ও হল অফিসে অভিযোগ করলেও তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না কর্তৃপক্ষ।
পানি সংকট নিরাসনের দাবিতে এদিন সকাল ৯ টা থেকে প্রকৌশল অফিস ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীরা। এসময় তারা হল প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। তারা হল প্রভোস্টে পদত্যাগ চেয়ে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগের দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।
খালেদা জিয়া হলের একাধিক আবাসিক ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকরা নিয়মিত হলে আসেন না। তাদের কাছে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানালেও তারা জরুরী ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। যে অভিভাবক আমাদের খোঁজ খবর রাখেন না আমরা তাকে চাই না।’
পরে শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান ও প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটল সেখানে আসেন। দুই ঘন্টার মধ্যে পানির সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রীরা। তবে এক দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান না করলে কঠোর কর্মসূচীর হুঁশিয়ারি দেয় তারা।
এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া হলে পানি সংকটের যে সমস্যা ছিল তা আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি। গতকাল শুক্রবার বিদ্যুৎ না থাকায় কিছু সমস্যা হতে পারে সেটা ছিল সাময়িক।’
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘হলের পানি সংকট সমস্যা নিয়মিত না, মাঝে মধ্যে দেখা দেয়। হলের একটা পাম্প নষ্ট হয়েছিল তা আমরা ঠিক করেছি। গতকাল শুক্রবার বিদ্যুৎ না থাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছিল।’
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ