১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ইং | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:০২

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান মিয়ানমারের

অনলাইন ডেস্ক:

অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি)পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক থেকে দেওয়া ঢাকা ঘোষণায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। ঢাকা ঘোষণায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্যবহৃত ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ ও ‘রাষ্ট্রীয় মদদে সহিংসতা’ শব্দগুলোর আপত্তি জানিয়েছে দেশটি।

একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এবং রাখাইনের উন্নয়ন ও স্থায়িত্ব বজায় রাখতে কোনও ধরণের সুপারিশ করতে ওআইসি ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানিয়েছে মিয়ানমার।

গত সপ্তাহে ঢাকায় ওআইসির (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৪৫তম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ওআইসির ঢাকা ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বুধবার বিবৃতি দেয় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এরপর সম্মেলন শেষে ৩৮ দফার ‘ঢাকা ঘোষণা’ করা হয়। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে রয়েছে চারটি ঘোষণা।

ঢাকা ঘোষণায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপরে নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ওআইসি। হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের কারণে বাংলাদেশে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে। এটা ছিলো ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’। এছাড়া রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের রাষ্ট্রীয় মদদ রয়েছে বলেও ঢাকা ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়।

এসব ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমারের বিবৃতিতে বলা হয়, ওআইসির ঘোষণায় নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। সেখানে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির সহিংসতার কোনও কথা উল্লেখ করা হয়নি। তাদের নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে ওআইসি। এছাড়া রাখাইনে মানবিক সংকট তৈরির পেছনে আরাকান আর্মিকে দায়ী করেছে মিয়ানমার।

ওআইসির ঘোষণার বিরোধিতা করে মিয়ানমার বিবৃতিতে বলে, এ ঘোষণায় রাখাইনের বাস্তুচ্যুত মানুষদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করা হয়নি।

রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশেরও সহযোগিতা চেয়েছে মিয়ানমার। কয়েক দফা বৈঠক এবং চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নানা টালবাহানা করে আসছে মিয়ানমার। বিবৃতিতে উল্টো বাংলাদেশের সহযোগিতা চাওয়ার মাধ্যমে ফের নিচু মানসিকতার পরিচয় দিলো দেশটি।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং উগ্রপন্থি বৌদ্ধদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। সেসময় এ নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘ। এরপর দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চু্ক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা বাস্তবায়নে নানা টালবাহানা করে যাচ্ছে মিয়ানমার।

 

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :মে ১১, ২০১৮ ৩:০৯ অপরাহ্ণ