২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৪৬

মাদক নিরাময়কেন্দ্রে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মাদকাসক্ত মেয়েকে সুস্থ করতে মাদক নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলেন মা। কিন্তু সেখানেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। কলকাতার বেহালার মুচিপাড়া এলাকায় ‘সুরক্ষা’ মাদক নিরাময়কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে অভিযুক্ত মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কয়েক দিন আগে সোনারপুরের আরেকটি মাদক নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিকে মারধর করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল।

পুলিশের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় পাল। বেহালার মুচিপাড়া এলাকায় ‘সুরক্ষা’ নামে একটি মাদক নিরাময়কেন্দ্র চালান তিনি। মাদকাসক্ত এক কিশোরীকে স্বাভাবিকতায় ফিরিয়ে আনতে তিন মাস আগে তাকে ওই কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলেন তার মা।

বুধবার বিকালে তিনি মেয়েকে দেখতে এসেছিলেন। কিশোরীটি তখনই তাকে ধর্ষণের কথা জানায়। মা কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এসে আশপাশের লোকজনকে সব জানান। স্থানীয়রাই তাকে থানায় পাঠান।

পুলিশ বলছে, বছর দুয়েক আগে মুচিপাড়ার ওই দোতলা বাড়িটি ভাড়া নেন সঞ্জয়। সেখানে মাদকসহ সব ধরনের নেশা থেকে মুক্ত করার চিকিৎসা হয় বলে তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপনও দিতেন। ওই কেন্দ্রের দোতলায় নারী এবং একতলায় পুরুষ রোগীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

তবে এলাকার লোকজন জানান, একজন রাঁধুনি, দুজন যুবক এবং সঞ্জয় ছাড়া আর কাউকেই সেখানে খুব একটা দেখা যেত না। কখনও কোনো চিকিৎসক ওই কেন্দ্রে এসেছেন বলে তারা মনে করতে পারছেন না।

আশপাশের লোকজনের অভিযোগ, ওই কেন্দ্রের পুরুষ আবাসিকদের মারধর করা হতো। সোনারপুরে একই ধরনের একটি কেন্দ্রে তো এক ব্যক্তিকে মারতে মারতে মেরেই ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে- এ ধরনের মাদক নিরাময়কেন্দ্রগুলোর বৈধতা নিয়ে।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :মে ১১, ২০১৮ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ