২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:০১

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পালিয়ে জীবন রক্ষা ছাত্রলীগ কর্মীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আশরাফুল হক আবাসিক হল থেকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পালিয়ে কোনো রকমে জীবন রক্ষা করেছেন ছাত্রলীগের এক কর্মী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন ছাত্রলীগকর্মী রেজাউর রহমান লিমন (৩২)। তিনি বাকৃবিতে এমবিএ-তে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশরাফুল হক হলে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে রেজাউর রহমান লিমনকে লাঞ্ছিত করলে তিনি হল থেকে পালিয়ে যান। পরে ওই কর্মীর কক্ষ ও হল ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সবুজ-রুবেল কমিটি হওয়ার পর থেকে আশরাফুল হক হল চালাচ্ছেন লিমন।

হলের সিট বণ্টন, গেস্টরুমে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার, ডাইনিংয়ে খাবার, টাকা নিয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের হলে তোলাসহ তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল হলের শিক্ষার্থীদের।

পরে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডক্টর অব লেটারস ডিগ্রিতে ভূষিত হওয়ায় ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে প্রথম বর্ষের কোনো শিক্ষার্থী না যাওয়ায় তাদের নিয়ে হলের ১১২নং কক্ষে বসেন লিমন।

এর আগে লিমনের অনুসারী রাকিব হাসান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলের ক্যান্টিনের ডিম হারিয়ে যাওয়ার কথা বলে। একপর্যায়ে হল ক্যান্টিন থেকে ডিম চুরির অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে পেটান লিমন।

ওই রাত ১টার দিকে অন্য এক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ফোন দিয়ে চুরিসহ বিভিন্ন উল্টাপাল্টা কথা বলা হয়।

পরে ওই হলের প্রথম বর্ষের সব শিক্ষার্থী একত্র হয়ে লিমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে লিমনের ওপর চড়াও হলে তিনি হল থেকে পালিয়ে যান।

এ সময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা লিমনের রুম, হলে ফুলের টব, জানালার কাচ ভাঙচুর করে। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ কাজী হলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী রেজাউর রহমান লিমন বলেন, হলের ক্যান্টিন থেকে ডিম চুরি করায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমি আলাদা বসি। কিন্তু তারা স্বীকার না করায় একজনকে শুধু চড় দিই। ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে না যাওয়া বা অভিভাবককে ফোন দেয়ার বিষয়ে কিছু জানি না আমি।

এ বিষয়ে আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন বলেন, হলের মারামারি হলে কি কখনও প্রভোস্ট যায়? প্রক্টরও তো হলে আসেননি। আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।

এ ঘটনায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান খোকন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :মে ৮, ২০১৮ ৮:০০ অপরাহ্ণ