নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোজার আগেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। তাই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে এবার রাজধানীর পেঁয়াজের পাইকারি বাজার ও আড়তে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
গতকাল সোমবার পুরান ঢাকার শ্যামবাজরে পেঁয়াজের আড়তে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। এখন থেকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ কত টাকা দরে বিক্রি হলো তা বস্তায় গায়ে লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীদের ডেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয় যেন তারা ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন না করে। যারা অনৈতিকভাবে দাম বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে অধিদফতর।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, গত কয়েকদিনে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। তাই রাজধানীর পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়েছি। প্রথমদিন শ্যামবাজরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। তাদেরকে পেঁয়াজের বস্তায় দাম লিখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ কত টাকা দরে বিক্রি হয়েছে তা বস্তায় গায়ে লিখতে হবে। বস্তায় মূল্য লেখা থাকলে হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে পারবে না। খুচরা ব্যবসায়ীরাও অতিরিক্ত মূল্য না নিতে পারে।
তিনি বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন; সরবরাহ কম থাকায় হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া বন্দর ও আমদানিকারকরা দাম বেশি রাখছে। তাই আজ অধিদফতরের জেলা অফিসগুলো আমদানিকারক ও বন্দরগুলোতে অভিযান চালাবে। যাতে করে তারা অতিরিক্ত মূ্ল্য নিতে না পারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি মূল্য বেশি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এরকম নানান অজুহাতে আড়ৎ ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। যার কারণে খুচরাও দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহ বেশি থাকা সত্ত্বেও বেশি দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা অভিযোগ ক্রেতাদের।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তবে আসছে পবিত্র মাস রমজান। রোজা এলেই এক শ্রেণির অসাধু মুনাফালোভী মজুতদার ও ব্যবসায়ীরা কৌশলে পণ্যের দাম বাড়ায়।
এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সোমবার মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা ও আমদানি পেঁয়াজের দাম ৩০-৩৮ টাকা। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা আর আমদানি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ