২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:৪১

যৌন নিপীড়ন: নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চার নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক শ্নেইডারম্যান পদত্যাগ করেছেন ।
‘দ্য নিউইয়র্কার’ ম্যাগাজিন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর সমালোচনার মুখে তিনি পদত্যাগ করলেন।
ওই প্রতিবেদনে এমন নারীদের বক্তব্য এসেছে, যারা এরিক শ্নেইডারম্যানের বিরুদ্ধে তাদেরকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। তাদের মধ্যে দু’জন অবশ্য এরিকের সাবেক বান্ধবী পরিচয় দিয়েছেন।
যৌন নিগ্রহের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে গড়ে ওঠা ‘মিটুম’ আন্দোলনের জোরালো সমর্থক এরিক শ্নেইডারম্যান। তিনিই প্রথম এ বিষয়ে আইনি পদক্ষে নেন। এবার তার বিরুদ্ধেই উঠল যৌন নিপীড়নের অভিযোগ।
সোমবার এক বিবৃতিতে এরিক শ্নেইডারম্যান তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘বিগত কয়েক ঘণ্টায়, আমার বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ করা হয়েছে। আমি দৃড়ভাবে এগুলো প্রত্যাখান করছি।’

এরিক আরও বলেন, ‘যদিও অভিযোগগুলো আমার পেশাদার আচরণ কিংবা অফিসের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তারপরও এই জটিলতার মধ্যে সেসব অভিযোগ আমার দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করবে।’ অবশ্য অভিযোগ ওঠার পরপরই নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো এরিক শ্নেইডারম্যানকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্কের শীর্ষ আইনজীবীসহ কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। এসব অভিযোগ আসার পর তার পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের মত পদে থেকে কার্যক্রম চালানো ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না।’

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হলিউডের প্রভাবশালী প্রযোজক হার্ভে ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক অভিনেত্রী ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর নিউইয়র্ক রাজ্যের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে এরিক শ্নেইডারম্যানই মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।

ওয়াইনস্টিন তার প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীদের যৌন নিপীড়ন করতেন, এমনকি হত্যার হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ করা হয় ওই মামলায়।
ওই মামলার প্রক্রিয়া শুরুর পর এক টুইটে শ্নেইডারম্যান বলেছিলেন, যৌন হয়রানি, নিগ্রহ আর আতঙ্ক মুক্ত একটি কর্মপরিবেশ পাওয়ার অধিকার নিউইয়র্কের প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে।

যদি কেউ ওই ধরনের কোনো অসদাচরণের শিকার হয়ে থাকেন, তাকে অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল ওই টুইটে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মে ৮, ২০১৮ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ