লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
খাবারের স্বাদ বর্ধনে যেমন অপরিহার্য উপাদান পেঁয়াজ তেমনি পাশাপাশি এর রয়েছে বিশেষ কিছু অজানা গুণ। চুলের যত্নে নিতে পেঁয়াজের ব্যবহার খুব উপকারী সে কথা আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু ছোটখাটো চিকিৎসায়ও যে পেঁয়াজ সমান কার্যকর এটি সবার জানা নেই। চলুন জেনে নেই পেঁয়াজের সেরকমই কিছু ব্যবহার।
১) শরীরের কোথাও পুড়ে গেলে একটি পেঁয়াজ দুভাগ করে কেটে নিয়ে একটি ভাগ ঘষে দিন ওই অংশে। জ্বলুনি কমে হয়ে হবে।
২) মুখে কালো দাগ থাকলে ভালো করে মুখ ধুয়ে একটি লাল রংয়ের পেঁয়াজ কেটে দাগের জায়গায় ঘষলে উপকার পাওয়া যাবে।
৩) অনেক সময় তরকারি পুড়ে হাড়ি-পাতিলে দাগ লেগে যায়। এই দাগ দূর করতে পেঁয়াজ অনেক কার্যকরী। পেঁয়াজের রস দিয়ে পোড়া হাঁড়ি-পাতিল পরিষ্কার করুন। দেখবেন পোড়া দাগ একদম দূর হয়ে গেছে।
৪) নাক থেকে রক্ত ঝরলে একটি পেঁয়াজ কেটে নাকের নীচে ধরে রাখলে কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
৫) তেল, চর্বিতে চুলা তেল চিটচিটে হয়ে যায়। এই তেল চিটচিটে ভাব দূর করে চুলা পরিষ্কার করতে পেঁয়াজের জুড়ি নেই। পেঁয়াজের রস এবং সমপরিমাণে লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে চুলার দাগের ওপর ঘষুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন সব দাগ দূর হয়ে গেছে।
৬) অনিদ্রার সমস্যায় শুতে যাওয়ার আগে একটি পেঁয়াজ কেটে গভীরভাবে পাঁচ থেকে দশ বার পেঁয়াজটির ঘ্রাণ নিন। ঘুম চলে আসবে।
৭) শরীরের কোথাও কাঁটা ফুটলে কাঁচা পেয়াঁজের একটি টুকরো কিছুক্ষণ ধরে রাখুন ওই জায়গায়। আর কোনো ব্যথা-বেদনা থাকবে না।
৮) পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷
৯) মধু ও পেঁয়াজের মিশ্রণ কফ কমিয়ে ঠান্ডা দূর করে থাকে। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়ার দূর করে অ্যান্টিবায়োটিক মত কাজ করে থাকে।
১০) ছুরিতে প্রায় সময় মরিচা ধরে থাকে। একটি বড় পেঁয়াজ কাটুন মরিচা ধরা ছুড়ি দিয়ে। আর দেখুন ছুরির মরিচা একদম গায়েব হয়ে গেছে। প্রথমবার মরিচা দূর না হলে আরেকবার পেঁয়াজ কাটুন।
১১) পেঁয়াজ শরীরের ইনসুলিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি রক্তের শর্করা কমিয়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করে থাকে।
১২) দেহের কোন স্থানে কেটে গেলে এক টুকরা পেঁয়াজ ঘষুন। দেখবেন সাথে সাথে রক্ত বন্ধ হয়ে গেছে এবং এটি ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করবে।
১৩) আয়ুর্বেদ মেডিকেল শাস্ত্রে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে আরও কিছু গুণ। শরীরে কাঁচা পেঁয়াজ ঘষলেও বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
১৪) ব্রণ বা ফুসকুড়ি হলে নিয়মিত কাঁচা পেয়াজ ঘষলে ব্রণ কমবে। ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে ব্রণ বা ফুসকুড়ির কালো দাগ।
১৫) ঘরে নতুন রং করালে এক ধরণের গন্ধ থাকে। এক টুকরা পেঁয়াজ কেটে পানিতে ডুবিয়ে নতুন রং করা ঘরের এক কোণায় রেখে দিন। পেঁয়াজ রঙের গন্ধ সম্পূর্ণ শুষে নিবে।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর