রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ডাকে রাঙ্গামাটিতে সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালিত হচ্ছে। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় অপহৃত তিন বাঙালি যুবককে জীবিত উদ্ধার, মাইক্রোবাস চালক সজীব হাওলাদের খুনিদের গ্রেফতার ও পার্বত্যাঞ্চলে ইউপিডিএফ-জেএসএসের সশস্ত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গত শনিবার তিন পার্বত্য জেলায় হরতালের ডাক দেয় সংগঠনগুলো।
হরতালের সমর্থনে সোমবার সকাল থেকে শহরের অভ্যন্তরীণ একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যায়নি। এছাড়া ছেড়ে যায়নি খাগড়াছড়ি-বান্দরবান-চট্টগ্রামগামী দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। জেলা সদরের সাথে নৌ-পথের ছয় উপজেলাতেও নৌ-চলাচল বন্ধ রয়েছে।এদিকে, হরতালের সমর্থনে শহরের মানিকছড়ি এলাকায় পিকেটিং করেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে, হরতালে সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দিতেও দেখা যাচ্ছে। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া জানান, হরতালের কারণে সকাল থেকে কোথাও পিকেটিং কিংবা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা লক্ষ করা যায়নি। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ মে দুবৃর্ত্তদের গুলিতে নিহত রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমাসহ জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ি বহরে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে মাইক্রোবাস চালক মো. সজিবসহ ৫ জন নিহত হন। এতে আরো আটজন আহত হয়েছেন।
গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ির মাইসছড়ি এলাকায় কাঠ কিনতে গিয়ে অপহৃত হন মাটিরাঙা উপজেলার পিকআপভ্যান চালক বাহার মিয়া, কাঠ ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন ও মহরম আলী।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি