আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় বিলুপ্ত করা দ্বিতীয় নৌবহর ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালে বিলুপ্ত করা দ্বিতীয় নৌবহর আবার নতুন করে গঠন করা হবে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল ও উত্তর আটলান্টিকে মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব ন্যাভাল অপারেশন এডমির্যাল জন রিচার্ডসন।
রাশিয়া ও চীনকে মোকাবেলার জন্য এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে জন রিচার্ডসন বলেন, এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের যে নতুন প্রতিরক্ষা কৌশল প্রকাশ করা হয়েছে তাতে এটা পরিষ্কার যে পৃথিবীতে বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরে এসেছে। খরচ কমানো এবং অন্যান্য কাঠামোগত বিষয় বিবেচনায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দ্বিতীয় নৌবহর বিলুপ্ত করেছিল।
বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথান মার্কাস বলছেন, দ্বিতীয় নৌবহরকে ফিরিয়ে আনার এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ। যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক দশকগুলিতে বিদ্রোহী তৎপরতা দমনের দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছিল। কিন্তু এখন বড় বড় দেশগুলোর মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছে তারা সেদিকে মনোযোগ দিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার দিকে।
সম্প্রতি রাশিয়া তাদের নৌশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। বাল্টিক সাগর, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর এবং আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা বাড়ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন দ্বিতীয় নৌবহরে কাকে কমান্ডার করা হবে তা এখনও জানা যায়নি।
রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে বহু বছর ধরে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে নাক গলানোর অভিযোগ, সিরিয়ায় বাশার-আল-আসাদের প্রতি সমর্থন এবং ব্রিটেনে সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপলের ওপর বিষ প্রয়োগের ঘটনা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। সূত্র: বিবিসি
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি