২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৫৩

পুঁজিবাজারে উন্নয়নে নীতিমালা প্রয়োজন : ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্পের অর্থ পুঁজিবাজারে থেকে সংগ্রহে সহজ নীতিমালা চেয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কাসেম খান।

ডিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলে ব্যবসা করতে হলে আগে তিন বছর ভালো ব্যবসা করে দেখাতে হবে। এর আগে টাকা সংগ্রহের কোনো উপায় নেই। আর তিন বছর পরে সেটা সম্ভব হচ্ছে কিনা তাও বলা মুশকিল। এতে এ ধরনের কোম্পানিগুলোর ব্যবসাও বাড়ানো সম্ভব হয় না। তাই বাজেটে মেগা প্রকল্পসহ গ্রিন ফিল্ড কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে একটি পলিসি তৈরির প্রস্তাব করছি। যাতে তারা তিন বছরের আগেই পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ব্যবসায় উন্নয়ন ও কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। তাই আগামী ১৯, ২০ ও ২১ সালকে অবকাঠামোর বছর ঘোষণার দাবি জানায় ডিসিসিআই। এছাড়া সরকারের ভালো প্রকল্পগুলোকে পিপিপির (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) আওতায় আনার কথা বলা হয়। এতে বিনিয়োগ বাড়বে। একই সঙ্গে একটি শক্তিশালী পিপিপি খাত গড়ে উঠবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

আবুল কাসেম খান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েকে ৪ থেকে ৮ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিতে হবে। এটি হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিল্পের উন্নতি হবে অনেক বেশি। এতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বেড়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে, আগামী বাজেটে ৪১টি প্রস্তাব তুলে ধরে ডিসিসিআই। এর মধ্যে ব্যক্তি শ্রেণির সর্বনিম্ন আয়সীমা আড়াই লাথ থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ করার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া সবনিম্ন কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি আইপিও, অবকাঠামো ফান্ড, ইক্যুইটিসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের জন্য নিট সম্পদের ওপর ধারাবাহিকভাবে সারচার্জ কমানোর প্রস্তাব করে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :মে ৫, ২০১৮ ৬:৪০ অপরাহ্ণ