২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৪৮

শক্তিমান চাকমাসহ ছয়জন নিহতের ঘটনায় দায়ী সরকারই : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বেআইনী অস্ত্রকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে দূর্বৃত্তদের মাথায় হাত রেখে দেশ চালাচ্ছে বলেই সারাদেশ খুন বেড়ে গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শক্তিমান চাকমাসহ ছয়জন নিহতের ঘটনায় সরকারই দায়ী।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দলীয় প্রশাসন যেমন অকর্মণ্য তেমনি দুর্নীতিগ্রস্ত। সর্বত্রই ক্ষমতা-আশ্রিত গুন্ডা-মাস্তানদের দাপট। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস আর গুন্ডামীকে নিজেদের জীবনাচরণে কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র তৎপরতায় শক্তিমান চাকমাসহ ৬ জন নিহত এবং বেশ কিছু সংখ্যক গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ নরসিংদীতে রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে দিনে-দুপুরে গুলি করে হত্যা করা আওয়ামী দুঃশাসনের এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত।

খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণতন্ত্রকে নিরুদ্দেশ করার ফাইনাল কল দিতেই পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে ভোটারদের ওপর দুরমুস চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের নির্বাচনী প্রচারণায় জনতার ঢল দেখে আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে হয়রানি শুরু করেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি দলের নৌকা প্রার্থীর পক্ষে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নির্বিচারে আক্রমণ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। দুদিন আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠন সুজনের পক্ষ থেকেও সংবাদ সম্মেলন করে তাদের মাঠ জরিপের ফলাফল তুলে ধরতে গিয়ে দুই সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। গণমাধ্যমেও ভোট নিয়ে ভীতি ও শঙ্কার খবর প্রকাশিত হচ্ছে।

রিজভী বলেন, গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা এসপি ও খুলনায় পুলিশ কমিশনার। তাদের নির্দেশে দুই সিটিতে পুলিশি তাণ্ডব চলছে। গণতন্ত্রকে নিরুদ্দেশ করার ফাইনাল কল দিতেই এই পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে ভোটারদের ওপর দুরমুস চালানো হচ্ছে। সরকার নৌকার প্রার্থীকে জেতাতে সরকারের প্রশ্রয়ে পুলিশ হয়ে উঠেছে স্বেচ্ছাচারী, অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মামুন আহমেদ, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ।

দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ

প্রকাশ :মে ৫, ২০১৮ ১:৩২ অপরাহ্ণ