আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ওয়াশিংটনে নিউজিল্যান্ড দূতাবাসের একটি টয়লেটে গোপন ক্যামেরা লাগানোর ঘটনায় দেশটির নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ বাথরুম ব্যবহার করা লোকজনের অন্তরঙ্গ ছবি পেতে তিনি এ ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন। আদালতে জমা দেয়া নথি থেকে শুক্রবার এ কথা জানা যায়। খবর এএফপি’র।
বিচারক গ্র্যান্ট পল বলেন, এ গোপন ক্যামেরা যখন উদ্ধার করা হয় তখন ওয়াশিংটন দূতাবাসে সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন কমোডর আলফ্রেড কিয়াটিং।
শুক্রবার প্রকাশিত লিখিত এক রায়ে তিনি বলেন, ‘ক্যামেরাটি টয়লেটের ভিতরে এমন এক স্থানে লাগানো হয়, যাতে এ টয়লেট ব্যবহার করা লোকজনের গোপন ছবি ধারণ করা যায়।’
এ গোপন ক্যামেরা খুলে বাথরুমের মেঝেতে পড়লে এটি উদ্ধার করা হয়। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় যে এটি অনেক মাস আগে সেখানে লাগানো হয়েছিল।
কূটনৈতিক সুবিধা ভোগের আওতায় কিয়াটিং যুক্তরাষ্ট্রে এ মামলায় রেহাই পেলেও নিউজিল্যান্ড পুলিশ মামলার নথিপত্র হাতে পেতে তার বাড়ি তল্লাশি করেছে।
তবে এ ক্যামেরায় অশোভন কিছু পাওয়া না গেলেও পুলিশ এর সাথে কিয়াটিংয়ের যুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। কেননা, তিনি এ ক্যামেরার সাথে একটি সফটওয়্যার স্থাপন করেছিলেন।
তবে কিয়াটিং এ মামলায় দোষ স্বীকার করেননি।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ