নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন দুই সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার দলীয় প্রার্থী ও সমর্থকেরা বিএনপিকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
বৃহস্পতিবার (৩ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বিএনপির ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনকে ঘিরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন বলেও অভিযোগ বিএনপির। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে কেএমপি কমিশনার ও গাজীপুরের এসপিকে প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছে দলটি।
বৈঠকে মঈন খান ছাড়াও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকতুল্লাহ বুলু ও সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গাজীপুরের পুলিশ সুপার ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রত্যাহার চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছি গণতন্ত্রের জন্য। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে খুলনায় আমাদের ১৯ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিভিন্নভাবে নেতাকর্মীদের হয়রানি, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে পুলিশ। খুলনায় আমাদের দু’জন স্থায়ী কমিটির সদস্য অবস্থান করছেন। তারা যে হোটেলে থাকছেন সেটাও পুলিশ ঘিরে রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর সমস্ত ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকে। তাহলে কীভাবে পুলিশ সেখানে এ অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে? এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? তাই আমরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহারে দাবি জানিয়েছি।’
মঈন খান বলেন, ‘আমরা গাজীপুর পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ জানিয়েছি। আজও জানালাম। গাজীপুরে আমাদের নেতৃবৃন্দ ভোট চাইতে গিয়েছেন। একজন নাগরিক হিসেবে দেশের যেকোনও জায়গায় গিয়ে ভোট চাওয়ার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে। ভোট চাওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু গাজীপুর পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাদের বহিরাগত আখ্যা দিয়ে সেখান থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদের প্রধান দাবি- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অবিলম্বে গাজীপুরের পুলিশ সুপার ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একযোগে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/ এন আর