২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:৩৬

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ছিঁড়ে ফেলা উচিত হবে না: গুতেরেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিয়ো গুতেরেস বলেছেন, ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি সংরক্ষণ করা না গেলে যুদ্ধের ঝুঁকি রয়েছে। এই চুক্তি থেকে ট্রাম্পকে বেরিয়ে না যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি সংরক্ষণ করা না গেলে সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধের ঝুঁকি রয়েছে। প্রসঙ্গত, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে করা এই পরমাণু চুক্তির অন্যতম সমালোচক ট্রাম্প। আগামী ১২ মে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন ওয়াশিংটন এই চুক্তিতে থাকবে না বেরিয়ে যাবে। তার ঠিক আগেই এ ধরনের সতর্কতা দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

যদিও এই চুক্তি মেনে চলার পুনঃপ্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি। তারা বলছে, পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ থেকে ইরানকে বিরত রাখতে এই চুক্তিই যথেষ্ট। গুতেরেস বলেন, ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি ‘গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক বিজয়’ এবং এটি সংরক্ষণ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘আমরা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। ভালো বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত এই চুক্তি বর্জন করা আমাদের উচিত নয়।’

এর আগে সোমবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, ইরান বিশ্বকে ধোকা দিয়ে চুক্তির অন্তরালে পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ করছে। এ ব্যাপারে তিনি কিছু ‘তথ্য-প্রমাণ’ উপস্থাপন করেন। নেতানিয়াহুর উপস্থাপিত ওই ‘তথ্য-প্রমাণ’র বরাত দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়, ওবামা যুগে (শাসনামল) করা ওই পরমাণু চুক্তি ‘মিথ্যা’র ওপর প্রতিষ্ঠিত।

তবে ইরান নেতানিয়াহুর উপস্থাপিত ওইসব ‘প্রমাণ’ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তিনি বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া পরমাণু চুক্তি নতুন করে করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র যে চাপ দিচ্ছে সে ব্যাপারে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, এই চুক্তি পরিবর্তনের কোনো অধিকার তাদের নেই। রুহানি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইরান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার বাইরে নতুন করে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন ২০১৫ সালের ইরানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ থেকে বিরত থাকবে এবং শুধু বেসামরিক উদ্দেশ্যে পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহার করতে পারবে। বিপরীতে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা দেশগুলো যে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছিল তা শিথিল করবে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :মে ৩, ২০১৮ ১:৪৪ অপরাহ্ণ