আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের অন্যতম সদস্য দেশ ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় বুধবার থেকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শেল (পাথুরে জমির খাঁজ থেকে উত্তোলিত খনিজ তেল) সরবরাহ বাড়ায় বাজারমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বুধবার অশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩১ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৭৩.৪৪ ডলার। যদিও আগের দিন মঙ্গলবার তেলের দাম প্রায় ৩ শতাংশ কমেছিল। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের অশোধিত তেলের দাম ৫০ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬৭.৭৫ ডলার।
গত এপ্রিলে ইরানের তেল রফতানি বেড়ে হয় ২.৬ মিলিয়ন ব্যারেল। এ তেলের বেশির ভাগই ক্রয় করেছে চীন ও ভারত। আগামী ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নেবেন ইরানের ওপর অবরোধ নতুন করে আরোপ করা হবে কিনা। মূলত এ কারণেই বাজারে কিছুটা অস্থিরতা রয়েছে।
এদিকে এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলারে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, যা হবে গত বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে জ্বালানি তেলের গড় দাম ছিল ৫৩ ডলার।
পণ্যবাজার নিয়ে সর্বশেষ পূর্বভাসে বিশ্বব্যাংক জানায়, একদিকে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক উত্পাদন কমিয়েছে, অন্যদিকে চাহিদাও বেড়েছে। সে কারণেই তেলের দাম কিছুটা বাড়বে।
সংস্থাটি বলছে, ওপেক দেশগুলোর উদ্দেশ্যই ছিল তেলের উত্পাদন কমিয়ে দাম বাড়ানো। এছাড়া ইরানের ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপের শঙ্কা, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে অস্থিরতা মার্চে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক: