নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভার অন্তর্গত প্রায় আট হাজার লোকের চলাচলের একমাত্র রাস্তার কোয়ার্টার কিলোমিটার চলাচলের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মাত্র দুই বছর আগে এলজিইডি মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে পৌরসভার শ্রীপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কি.মি. রাস্তাটি নির্মাণ করার পর পদ্মা সেতুতে পাথর সরবরাহের কাজে ব্যবহার করায় কোয়ার্টার কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিশেষ করে মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে পূর্ব গাড়াখোলা চার রাস্তার মোড় (আমিরের দোকান) পর্যন্ত রাস্তাটির পাকা স্তর উঠে দুপাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ওই রাস্তাটি দিয়ে ভ্যান রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজনের ভোগান্তির শেষ নেই। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে আনতে ভ্যান ও রিকশাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
সরেজমিনে দেখা যায় এই সড়কটি দিয়েই মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মধুখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি আইনউদ্দিন কলেজ, রইছন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শত শত ছাত্র/ছাত্রী ও উপজেলার দাপ্তরিক কাজে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
তাই উপজেলা পরিষদ, মধুখালী বাজার, সরকারি কলেজ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে মধুখালী পৌর মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমার লিমন বলেন, যেহেতু পাথর পরিবহণের কাজ শেষ হয়নি তাই আপাতত পরিপূর্ণভাবে রাস্তা মেরামত করা যাচ্ছে না। রাস্তাটি জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য বর্ষার আগেই দ্রুত ইটের খোয়া দিয়ে রোলিং করে দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় খুব ভালোমানের রাস্তা নির্মাণ করা হলেও পদ্মা সেতুর পাথর নেওয়ার ফলে বেহাল হয়েছে। রাস্তাটি পৌরসভার মধ্যে পড়ায় বর্তমানে এটি পৌরসভা সংস্কার করবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ