মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে এক শ্রমিক সমাবেশে এরশাদ এসব কথা বলেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দেশটা অধঃপতনে গেছে। খবরের কাগজ খুললেই শুধু হত্যা আর মৃত্যুর সংবাদ চোখে পড়ে। আমরা বাঁচতে চাই, দেশ ও মানুষ বাঁচাতে চায়। তাই পরিবর্তন প্রয়োজন। আর জাতীয় পার্টি ছাড়া এই পরিবর্তন সম্ভব নয়।’
আওয়ামী লীগের সামলোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, শুধু বেঁচে থাকার জন্য তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা ১২ ঘণ্টা কাজ করে। কিন্তু কেউ খবর রাখে না কাজ শেষে শ্রমিকরা কোথায় থাকে, কিভাবে থাকে। জাতীয় পার্টিই শ্রমিকবান্ধব সরকার গঠন করবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের হাতে আজ কিছু নেই। হাসি নেই, আনন্দ নেই, শান্তি নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, নিরাপত্তা নেই, নাগরিক অধিকার নেই, শ্রমিকের কাজ নেই, কৃষকের খাওয়া নেই, বেকারের বাঁচার পথ নেই, বিচার নেই, আইনের শাসন নেই- শুধু নেই আর নেই।’
‘আছে শুধু হাত বাঁধা শৃঙ্খল। এই শৃঙ্খল আজ আমাদের ভাঙতে হবে। এই হোক মহান মে দিবসের অঙ্গীকার’ যোগ করেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আসরাফুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এসএম ফয়সল চিশতী প্রমুখ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, সাহিদুর রহমান টেপা, সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, আজম খান, মেজর খালেদ আখতার (অব.), মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, রিন্টু আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফুর রহমান খান, আলমগীর সিকদার লোটন, নুরুল ইসলাম নুরু, সরদার শাহজাহান প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ