২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:১৪

সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য উম্মোচন মোদি সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে এবার সরাসরি মুখ খুলল নরেন্দ্র মোদি সরকার। তথ্য অধিকার আইনে একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৪৫ সালে জাপানের তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছে। আর আচমকা এই ঘোষণায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। কলকাতার বাসিন্দা সায়ক সেনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘শাহনাওয়াজ কমিটি, বিচারপতি জি ডি খোসলা কমিশন ও বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশনের রিপোর্টগুলি বিবেচনার পরে সরকার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল।’ আরও জানানো হয়েছে, গুমনামি বাবা নেতাজি নন— মুখোপাধ্যায় কমিশনই সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল।

নেতাজির পরিবারের সদস্য ও ভক্তদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশ করেছে মোদি সরকার। তার পরেও অবশ্য অন্তর্ধান রহস্যে পর্দা টানাই ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার মোদি সরকারের জবাব যেন সব কিছু ছাপিয়ে কয়েক যুগ ধরে চলা বিতর্কে জল ঢেলে দিতে চেয়েছে। আর বিতর্ক শুরু হতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘দেশের মানুষের সামনে যে সব তথ্য রাখা ছিল এবং বছর বছর ধরে সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, তার ভিত্তিতেই এই জবাব দেওয়া হয়েছে।’  এদিকে, সরকারের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন নেতাজির পরিবারের সদস্যদের একাংশ। এছাড়া ফরওয়ার্ড ব্লকের জাতীয় সম্পাদক জি দেবরাজন বলেছেন, অন্তর্ধান রহস্য সর্বশেষ খতিয়ে দেখেছেন যারা, সেই বিচারপতি মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশনই বলেছিল ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে তাইওয়ান সরকারের পাঠানো চিঠিও কমিশনের হাতে আসে। সেখানে বলা হয়েছিল, ওই বিশেষ দিনটিতে তো নয়ই, তার আগে বা পরের সাতদিনের মধ্যেও তাইহোকু বিমানবন্দরে কোনো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। ফলে সরকার কী ভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছল, প্রশ্ন তোলেন তিনি।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জুন ১, ২০১৭ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ