এতো অত্যাচার-নির্যাতনের পরও বিএনপি পিছু হটেনি : নজরুল ইসলাম খান

মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকার ভেবেছিল চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে জেলে রেখে দিলেই বিএনপি নির্মূল হয়ে যাবে, দুর্বল হয়ে যাবে। এই সরকার আরও ভেবেছিল বিএনপি ভেঙে খন্ড খন্ড হয়ে যাবে, কিন্তু এর কিছুই হয়নি।
দলের পোড় খাওয়া এই শ্রমিক নেতা পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, আপনারা জানলে শঙ্কিত হবেন, গত ৩ বছরে বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৭১ হাজার, এতে আসামি করা হয়েছে ১৮ লাখ নেতাকর্মীদের। আপনারা জানলে আরও আতঙ্কিত হবেন গত ৯ বছরে ১২ হাজার ৮৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। জানলে ভীত হবেন, গত ৯ বছরে বিএনপির ৩শ নেতাকর্মী গুম হয়েছে, যারা এখনও ফিরে আসেনি।
তিনি উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি জানলে খুশি হবেন এবং অবাক হবেন, এতোকিছুর পরেও বিএনপি পিছু হটেনি।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণতান্ত্রিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক প্রভাবশালী পত্রিকা ‘গালফ নিউজের’ একটি জরিপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান দ্বিতীয় শীর্ষ যুবনেতা হিসেবে স্থান পেয়েছেন জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, গালফ নিউজ বিশ্ব যুবনেতাদের নিয়ে যে জরিপ করেছে, সেখানে সবার শীর্ষে আছেন সৌদি যুবরাজ, তারপর আছেন তারেক রহমান। আমাদের দেশে আরেকজন যুবনেতা আছেন তাঁর স্থান ২০তম।

কারা কর্তৃপক্ষের সুপারিশের পরও বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা এমন অভিযোগ করে নজরুল বলেন, কয়েকদিন আগে কারা কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে বেসরকারি কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার সুপারিশ করে। সরকার তা আমলে নিচ্ছে না।

বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ ধরনের এমআরআই করা দরকার, জরুরী ভিত্তিতে তাঁর ফিজিওথেরাপি দরকার। সরকারি হাসপাতালে তা সম্ভব না, কারাগারেও সম্ভব না। আজকের যিনি সরকার প্রধান তিনি যখন কারাগারে আটক ছিলেন তার চিকিৎসা স্কয়ার হাসপাতালে করানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের বড় নেতারা দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেখানে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে জেল কর্তৃপক্ষের সুপারিশ কেন বিবেচনা করা হচ্ছে না?- প্রশ্ন করেন নজরুল ইসলাম খান।

গণতান্ত্রিক ফোরাম-এর সভাপতি মোজ্জাম্মেল হক মিন্টুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকসহ আরও অনেকে।

দৈনিক দেশজনতা/এন আর