মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিনিধি :
গাজীপুর সিটি মেয়র নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে তিনগুণ বেশি ভোট পাবে বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সরকার বিনা ভোটে আবার ক্ষমতায় যেতে চায় বলেই তারা বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাসের উদ্দেশ্যে তাঁর চিকিৎসা করতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম এর আয়োজনে ‘খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা ও ফরমায়েশি রায়’ প্রত্যাহারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী একভাগ ভোট পাবেন এটা আওয়ামী লীগ জানে। এই সিটির ভোট ইসি এবং সরকারের জন্য অগ্নিপরীক্ষা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মোশাররফ আরও বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে উপরের নির্দেশে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে পরিত্যক্ত কারাগারে। অমানবিক অবস্থায় তাঁকে রাখা হচ্ছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। দিনে দিনে তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার আহ্বান জানিয়েছি। সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। কারণ বিএনপিকে বাইরে রেখে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে আবার ভোটার ছাড়া নির্বাচন করতে চায়, এটাই আওয়ামী লীগের একমাত্র উদ্দেশ্য।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে উপরের নির্দেশে পাঁচ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে পরিত্যক্ত কারাগারে। অমানবিক অবস্থায় তাঁকে রাখা হয়েছে। তাঁর অবস্থা দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।
বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আরো অবনতি হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে এই আওয়ামী লীগ সরকার হলফ করে বলেছিল, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন করে, তিন মাস পর ফের সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারা সেটা না করে প্রতারণা করেছে। এখন চীন বলেছে, বাংলাদেশে তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা মনে করি, আগামী নির্বাচনে এ প্রতারকদের পেছনে কেউ হাঁটবে না।
২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারত জোর করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, তারা এবার নির্বাচন নিয়ে নাক গলাবে না। এ ছাড়া এখন চীনসহ অন্যান্য সব দেশ বলছে বাংলাদেশে তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা মনে করি, আগামী নির্বাচনে এ প্রতারকদের পেছনে কেউ হাঁটবে না।
ড. খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে, মুক্তি পাচ্ছে আবারও গ্রেফতার হচ্ছে। কারণ এ সরকার তো স্বৈরাচার। সেজন্য ন্যায় ও সত্যের পক্ষে কথা বললে তারা সহ্য করতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, ‘কমিটি নিয়ে কথা বলার জন্য গতকাল ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতারা বৈঠক করছিলেন। সে সময় তাদের গ্রেফতার করা হলো। কয়েকদিন আগে ‘গাজীপুরে নির্বাচন থেকে কেন সরে গেলেন- এই রাগে জামায়াতের এক প্রার্থীসহ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ’। মনে হয়, বাংলাদেশে যেন ঘরোয়া রাজনীতিরও পারমিশন নেই।
সামরিক শাসনামলেও এমনটা হয় না উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, দেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে বাকশাল কায়েম করছে সরকার।
মোশাররফ বলেন,
তিনি বলেন, আগামী দিনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য মাঠে নামবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে মাঠে নামবে। সবাই সেই দিনের জন্য প্রস্তুতি নিন। স্বৈরাচার শান্তিতে আছে একদিন দেখবে- সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুলাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা মশিউর রহমান, কবির মুরাদ, শামীমুর রহমান শামীম, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, তারেক-উজ জামান তারেকে, মোস্তাফিজুর প্রমুখ ।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ