নিজস্ব প্রতিবেদক:
আইনি লড়াই ছাড়া কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। আইনি লড়াই ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো পথ নেই।
‘নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেওয়ার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ’—বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়াকে তো জেলে রাখছে না। রাখছেন আদালত। আদালতে তারা ফাইট করুক।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখেছেন। বিএনপি নেতারা যেভাবে কথা বলছেন ও চিৎকার করছেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে তারা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও রাজনীতি করছে। এখানে চিকিৎসাটা দরকার, সে ব্যাপারে সরকারের কোনও গাফিলতি হবে না। তবে তারা মনে হয় রাজনীতি শুরু করছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক দল থেকে যদি সার্টিফাই করা হয়, তাহলে তো হবে না। এখানে চিকিৎসক যারা আছেন, তাদের কোনও দলীয় পরিচয় নেই। তাদের যে দুজন বারবার সার্টিফাই করছেন, দুজনই কিন্তু তাদের দলীয় চিকিৎসক। রাজনীতির টোন অ্যান্ড টেননের সুরে তাদের কথাবার্তা আমরা বুঝতে পারছি।’
চিকিৎসার বিষয় বিএনপি বা আওয়ামী লীগের নয় জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমি এটুকু বলতে পারি, এ বিষয়টিকে এভাবে-সেভাবে অর্থাৎ উদাসীনভাবে দেখানোর সুযোগ নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একজন কারাবন্দির চিকিৎসা কোথায় হবে, এটা বিএনপি ঠিক করে দেবে? আমাদের নেত্রী যখন কারাগারে ছিলেন, তখন আমরা কিন্তু বলিনি এই হাসপাতালে নিয়ে আসুন, ওই হাসপাতালে নিয়ে আসুন। এটা চিকিৎসকরাই ঠিক করবেন। দরকার হলে মেডিক্যাল বোর্ড ঠিক করবে।’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। সেখানে জেল কোড অনুযায়ী সব ব্যবস্থাই নেওয়া হবে। চিকিৎসায় যেখানে যেটা প্রয়োজন, সেখানে সেটাই জেল কোড অনুযায়ী করা হচ্ছে।’
বেগম খালেদা জিয়াকে দু-একদিনের মধ্য বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘যা-ই হবে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা ও চিকিৎসকরা ঠিক করবেন। এখানে বিএনপির কথা আর আওয়ামী লীগের কথায় বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হবে না। চিকিৎসার ব্যাপারটা ভিন্ন। এখানে কারাগারের নিয়ম আছে। চিকিৎসক আছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ