মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি বানোয়াট ভিডিও নিয়ে কথা বলেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, ফেসবুকে চেয়ারপারসনকে নিয়ে বানোয়াট গল্প প্রচার করা হচ্ছে।
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
শনিবার বিকেল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে বানানো ভিডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলছেন, ‘ঢাকাতে আন্দোলন সেভাবে করা সম্ভব হয়নি। এখানে আমার পরিবারের মধ্যে সমস্যা আছে। তারেককে তো আপনারা ভাল করে চেনেন। বউ’র সাথেও গোন্ডগোল আছে। বউ চায় ক্ষমতা, সেও চায় ক্ষমতা।
নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপ প্রেস সচিবকে ভিডিওটির জন্য দোষারোপ করেন রুহুল কবীর রিজভী।
রিজভী বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথা ব্যথার যেন শেষ নেই। তাকে নিয়ে তাদের অন্তহীন ষড়যন্ত্র বারবার ব্যর্থ হয়ে যাওয়ায় এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নানা অপপ্রচারের জন্য সেল খোলা হয়েছে।
এই ধরনের অপপ্রচার নিম্ন রুচির পরিচায়ক মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যারা কুরুচিসম্পন্ন এবং যারা অপরাজনীতি ও অসভ্যতার চর্চা করে তারাই কেবল অসত্য ও নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নেয়। আওয়ামী লীগ কুৎসা সঞ্চারিত মনের বিকারে ভোগে। তাদের ঐতিহ্যে সভ্যতা ও সুরুচির কখনোই কোন নিদর্শন ছিল না। সেজন্য তাদের কোন কথাই জনগণ বিশ্বাস করে না— বললেন রিজভী।
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে আরো অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের হাসপাতাল ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে সরকার প্রতিহিংসা বাস্তবায়নে চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছে কি না—তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার ক্রমাগত অবনতির খবরে গোটা জাতি এখন চরম উদ্বিগ্ন। দেশনেত্রীকে নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বীভৎস মূর্তি মানবজাতিকেই শিহরিত করছে।
গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দুই সিটিতে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি ইসি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও দুই সিটিতে ক্ষমতাসীনদের বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি।
গাজীপুর পুলিশ সুপার প্রত্যাহার দাবি করে রিজভী বলেন, এই এসপি সংসদের বিরোধী দলীয় সদস্য, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে মেরে ফেলার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। এখন তিনি গাজীপুরে বিরোধী দলীয় নেতাদের গণগ্রেফতার এবং গ্রেফতার বাণিজ্য চালাচ্ছে।
দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করলেও এবং প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসিতে জমা দিলেও নির্বাচন কমিশন অন্ধের ভূমিকা পালন করছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ