২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারীর মধ্যে জাতীয় সংসদের একাদশ নির্বাচন হওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সম্পর্কে ইসি, সিইসির সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের অনেকের মুখ থেকে জোড়ালোভাবে এ প্রসঙ্গটি বেড়িয়ে এসেছে। তাছাড়া ইতিপূর্বে দেশে যখন, যে পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতেও নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবনা বাদ পড়েনি।
নির্বাচনে গতানুগতিক আইন শৃংখলা তদারকিতে আইন শৃংখলা পদ্ধতিও এ ব্যাপারে একটা বড় জটিলতা (ঋধপঃড়ৎ) বলেও বিভিন্ন সময়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও গোল টেবিল বৈঠকে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করে থাকেন। নির্বাচনে কোন দল জিতল, কোন দল হারল এটা বড় কথা নয়। ভোটার যাতে নিঃসংশয়ে পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে পারে, ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোট ছিনতাই যাতে না হতে পারে ইহাই হচ্ছে বড় কথা। মোদ্দা কথা কোন অবস্থাতেই যাতে ভোটাধিকার হরণ না হয় এবং প্রভাব বলয়ের কোর্টে চলে না যায়।
দেশে বিনা ভোটে দশম নির্বাচনে ভোটারবিহীনভাবে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য, ১৯৮৮ ও ৯৬’র ১৫ ফেব্র“য়ারীতে ভোটারবিহীন স্বল্প সময়ের সংসদ হলেও এ তিনটি নির্বাচনে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েই দেশে একাদশ সংসদ নির্বাচন হতে চলছে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ৭৩, ৭৯, ৮৬, ৮৮, ৯১, ৯৬’র ১৫ ফেব্র“য়ারী, ৯৬’র ১২ জুন, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী প্রতিটি নির্বাচনে আনসার, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আর্মস পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নির্বাচনের আইন শৃংখলা রক্ষাকল্পে সেনাবাহিনীকেও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছিল। সেনাবাহিনী ব্যতিরেকে এ পর্যন্ত দেশের স্থানীয় সরকার পর্ষদের বিভিন্ন নির্বাচনে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি আহত, নিহত ও পঙ্গুত্ব বরণের যে ভয়াবহ, ভয়ংকর ও বিভীষিকার চিত্র ইতিমধ্যে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে তা দেখে যেমনি অনেকের গা শিউরে ওঠে, তেমনি ভূক্তভোগীসহ যারা আজো পঙ্গুত্ব বরণ করে চলছে তাদের ও তাদের পরিজনদেরতো আর্তনাদের সীমা পরিসীমার শেষই নেই। অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, সারা দেশের পাড়া, মহল্লা, গ্রাম, উপজেলাতে এখন অগনিত বেদনাদায়ক উদাহরণের যেন কমতি নেই। যে জ্বালা যন্ত্রনা পরিবার পরিজনদের ঘুরে ফিরে অশ্র“ বেদনার মহাকাব্য হিসেবে রেখাপাত করে আসছে।
তাই হানাহানিমুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যাশাতেই অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে ভূক্তভোগীসহ সমাজের অনেকেই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এ প্রসঙ্গে বাস্তবতার আলোকে একটি দৃষ্টান্ত তুলে না ধরলেই নয়। এক সময় কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলীয় প্রার্থী সমেত ৯ জন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করি। সেই সময়ে অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সাথে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী ও নির্বাচন তদারকিতে মোবাইল টিম হিসেবে নিয়োজিত ছিল। একটি কেন্দ্রে আইন শৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোট ছিনতাই, ভোট কারচুপি, অন্যের ভোট প্রদান, পুলিং অফিসার ও কেন্দ্রের সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে একটা শ্রেণী এ ঘটনা ঘটাতে থাকলে আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্তব্যরত লোকজন দর্শক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কোন ভূমিকাই কারো দৃষ্টিতেই পড়েনি। এ সময় ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর কর্তব্যরত মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স ত্বরিত এসে কোন দল, কোন নেতা কারো দিকে না থাকিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক ভোট কেন্দ্রে যেমনি শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনে তেমনিভাবে ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠান ও নির্বাচনের সুন্দর ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে। সেই সময় অনেকেই সেনাবাহিনীর এ ভূমিকাকে শান্তিদূত হিসেবে উলেখ করতে দেখা যায়। এ নির্বাচন কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা দেখে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রায় সকলেই নির্বাচনে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে থাকে। জনগণ, ভোটারসহ সকলের মুখে একই কথা, একই শ্র“তি, একই বাক্যালাপ সেদিন যদি ওই ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী এ ভূমিকা পালন না করতো তবে ভোট কেন্দ্রে যেমনি রক্তারক্তি হতো তেমনি নির্বাচনে জয় পরাজয় প্রার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হতো অনৈক্য ও বিশৃংখলা ও সীমাহীন দ্ব›েদ্বর সূত্রপাত।
তাই অবাধ, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, ছিনতাই, প্রভাব ও কারচুপিমুক্ত নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনে নিয়োজিত অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে যথাযথ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানসহ নির্বাচনে দায়িত্ব অর্পন ইসি ও সিইসির ভেবে দেখার কথা অনেকেই মনে করে থাকে। যার মাঝে রয়েছে, ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের অবাধ ও স্বচ্ছ ভোট প্রদানের আশংকামুক্ত অভিলাষ ও ভয়ভীতি, আতংক, অস্থিরতা ব্যতিরেখে শান্তির নির্মম আনন্দ।
এসব কিছু ভেবে চিন্তেই হয়তোবা ০৮/৪/২০১৮ ইং রোববার সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে.এম নূরুল হুদা আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন শৃংখলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অতীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন হতে পারে। তারপরও বলেছেন, আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে একবারও বলিনি যে, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না। তবে এটা আমার একার সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়। ইসির আরো ৫ জন সদস্য আছেন। সাংবিধানিক ও স্বাধীন ক্ষমতার অধিকারী সিইসির এ অভিমতের এ প্রতিফলন যদি ঘটে তবে তা দেশের জনগণ ও ভোটারদের মনে প্রাণসঞ্চার করার মতো ভাবনা ও প্রত্যাশারই প্রতিফলন হবে।
অনেকেরই অভিমত দেশের আইন শৃংখলা রক্ষায় যেমনি পুলিশ, র্যাব, সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি তেমনি বহি শত্র“র হাত থেকে দেশ রক্ষায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সকলেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক। প্রত্যেকেরই রয়েছে কর্ম ও পেশার পাশাপাশি ভোটাধিকার, জাতীয়তা ও জন্ম সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের সনদ। তাদেরও দিতে হয় খাজনা, ট্যাক্স, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিলসহ রাষ্ট্রের নির্দেশিত সকল কিছু। তাছাড়া আরো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, আইন শৃংখলার অন্যান্য বাহিনীর সাথে অনেক সময় একত্রে দেশের বন্যা, খরা, সাইক্লোন, ওয়াসার পানি বন্টন, ডেসার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সঞ্চালন, ট্রাফিক জ্যাম নিরসন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, জঙ্গি দমনসহ জাতীয় আরো অনেক প্রয়োজনে যেমনি সেনাবাহিনী কাজ করে থাকে তেমনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবিতে একীভূত হয়েও (উবঢ়ঁঃধঃরড়হ) সেনাবাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালন করে থাকে। তদুপরি সেনাবাহিনী আমাদেরই সন্তান, কারো ভাই, কারো স্বজন ও কারো বন্ধু। দেশের শাসন, প্রশাসন, আইন, বিচার, সাংবাদিক, রাজনীতিক, পেশাজীবি, সুশীল সমাজ, ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবিরা যেমনি দেশের সকল ব্যাপারে সচেতন তেমনি দেশের সেনাবাহিনীও এর চেয়ে কম সচেতন নয়। অনেকে অনেক ব্যাপারে বললে, লেখলে অভিমত প্রদান করলেও নিয়মনীতি ও আইনের বিধিমালা ডিঙিয়ে অনেকেই তা করতে পারে না। কিন্তু অবসরে গিয়ে সামরিক, বেসামরিক ঘরানার কর্মকর্তাদের শানিত কলাম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের সম্পৃক্ততা অনেককেই বিস্মিত করে উপস্থাপন করতে পিছপা হয়নি।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নির্বাচন তদারকি, জাতীয় উন্নয়ন, জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ, জঙ্গি দমন ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বিভিন্ন দেশে অরাজকতার স্থলে শান্তি আনয়ন এবং অনেক দেশের নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসনীয় ও গৌরবদীপ্ত ভূমিকাকে কারো খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে এখনো প্রায় ৮ মাস বাকি। অপরদিকে গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একেবারেই আগত প্রায়। অর্থাৎ ১৫ মে দুই সিটির নির্বাচন। এখনই প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার দিকে
দৃষ্টিপাত করলে প্রতিদিনই নির্বাচনের যে চিত্র ভেসে আসছে তা দেখে সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবি, রাজনৈতিক দল এবং দেশের সাধারণ জনগণ এ দুটো নির্বাচনের ভাবনা নিয়ে খুব একটা শান্তি ও স্বস্থিতে আছে বলে মনে না করারই কথা। তাছাড়া অনেকেরই হা হুতাশ ও আশংকা এসব নির্বাচনে কোন মায়ের বুক না খালি হয়। দুটো সিটি কর্পোরেশনেও জাতীয় নির্বাচনের দিন যতই সামনে আসছে, বেসামাল দলীয় কোন্দল, হাঙ্গামা, অরাজকতা, বাদানুবাদ ততই সমানতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক শ্রেণী পেশা ও বিদগ্ধ রাজনীতিকদের ধারণা এ অবস্থা চলতে থাকলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হয়তোবা দেশের শান্তি, স্বস্তি, জানমাল রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বাভাবিক শান্তি শৃংখলা রক্ষাকল্পে অতীতের মতো সংযুক্ত বাহিনীর (ঈড়সনরহবফ ঢ়বধপবভড়ৎপব) মতো সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তাকে একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। যদি এর উদ্ভব না হয় তবে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য অতীব মঙ্গল। ২৯ মার্চ দেশের ১২৯টি বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনে যে ভোট ছিনতাই ও ভোট কারচুপিযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে যে সচিত্র প্রতিবেদন ও সংবাদ দেশের মানুষ লক্ষ্য করেছে তাতে এ অরাজকতা, বিশৃংখলার সিসটেম (ঝুংঃবস) নতুন করে সামনে নির্বাচনের অবস্থাকে সজাগ করে দেয়ার আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলেও অনেকেই অভিমত ও আশংকা প্রকাশ করছে।
যে কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই যেমনিভাবে নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান, ভোট ছিনতাই, ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপি রোধকল্পে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গ চলে আসছে তেমনিভাবে এসব দিক বিবেচনা করে গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের কথা চলে আসছে।
অনেকেই মনে করে থাকে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়া যদি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, স্বচ্ছ, ছিনতাই, কারচুপি ও ভোট কেন্দ্র দখল মুক্ত দুটি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে যায় তবে তা খুবই ভালো কথা। আর যদি কোন কারণে এর ব্যত্যয় ঘটে, তবে এর প্রতিক্রিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গিয়ে পতিত হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না। কথায় বলে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও বাড়া বানে। অর্থাৎ প্রিভেনশন ইজ ব্যাটার দেন কিউর। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের কথা মাথায় নিয়ে এখনই যদি এ ব্যাপারে ইসি, সঠিক পরিকল্পনা ও দিক দর্শন ঠিক করে সামনে এগিয়ে যেতে সচেষ্ট হয় তবে দেশের জনগণের কাছে ইসি, সিইসির সুদূর প্রসারী এ পদক্ষেপ জনসমর্থিত ও কাজে লাগতে পারে।
দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ একাদশ জাতীয় নির্বাচন যাতে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উৎসবের আমেজে ভোট ছিনতাই, কেন্দ্র দখল, হুন্ডা, গুন্ডা, ব্যতিরেকে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনে প্রচলিত আইন শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি এটাকে আরো অর্থবহ, সুসংহত ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন দরকার বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সুশীল সমাজ, নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করে থাকে। অনেকে আবার বিগত সময়ে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে স্মরণ করে থাকে। নির্বাচনে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ , স্বচ্ছ, প্রভাবমুক্ত ভোট অনুষ্ঠান, ও ভোটের সঠিক ফলাফলই নির্বাচনের মূলমন্ত্র। এর সঠিক বাস্তবায়ন যেমনি ইসির ভাবমুর্তিকে উজ্জল করবে, তেমনি এর ব্যর্থতাও নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনের ভাবমুর্তিকে বিতর্কিত করে তুলবে।
এ.কে.এম শামছুল হক রেনু