নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাসপোর্টের সঙ্গে নাগরিকত্ব থাকা না থাকার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান। বিদেশে অবস্থানকারী যে কোনও বাংলাদেশি পাসপোর্ট না থাকলেও দেশে ফিরতে পারেন বলেও জানান তিনি। এই কর্মকর্তা আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের কাছে এখন কোনও পাসপোর্ট নেই।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী তারেক রহমানের পাসপোর্ট বিষয়ে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘তারেক রহমানের এখন কোনও পাসপোর্ট নাই। তার কাছে যে পাসপোর্ট ছিল সেটা ২০১৪ সালে উনি জমা দিয়েছেন। এরপর নতুন করে পাসপোর্টের জন্য আর কোনও আবেদন তিনি করেননি। পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তবে কীভাবে সেখানে অবস্থান করছেন সেটা যুক্তরাজ্যের সরকার জানেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তখন তার পাসপোর্ট ছিল হাতে লেখা, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ছিল না। ২০১০ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালে তিনি ওই পাসপোর্ট সারেন্ডার করেন। এখন নতুন পাসপোর্ট নিতে হলে তার ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে। ন্যাশনাল আইডিকার্ড তার নেই। এটা নিতে হলে অবশ্যই দেশে আসতে হবে।’
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও যে কোনও বাংলাদেশি দেশে ফিরতে পারবেন জানিয়ে মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যামবেসির মাধ্যমে তাকে ট্র্যাভেল পাস নিতে হবে। এটা স্বেচ্ছায় নিতে হবে। জোর করে দেওয়া হবে না। আর না চাইলে সেটা তার ব্যাপার। তবে সরকার তাকে আনতে চাইলে কীভাবে আনবে এটা সরকারের ও আইনের ব্যাপার।’
তিনি আরও জানান, ‘তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ১৯৭৬ সালের পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী, কোনও মামলায় সাজার মেয়াদ দুই বছরের বেশি হলে আসামিকে পাসপোর্ট দেওয়া হয় না। আমরাও দেবো না। তবে কোনও আসামি সাজার আগেই পাসপোর্ট নিয়ে থাকলে তা ফেরত নেওয়া হয় না। তবে ওই আসামিকে দেশ ত্যাগ করতে দেওয়া হয় না।’
দৈনিক দেশজনতা/এন আর