মহিউদ্দিন খান মোহন
সমস্যাটি সম্পর্কে সবাই জানেন। আলোচনাও বিস্তর। কিন্তু সমাধানের পথ খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই। কিভাবে এ সমস্যার নিষ্পত্তি ঘটবে এবং দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে আসবে, তা নিয়ে সচেতন ব্যক্তিরা ভাবছেন। তারা উদ্বিগ্ন দেশের ভবিষ্যত নিয়ে। দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের অনিবার্য ফলশ্রুতি হিসেবে দেশ আবার অরাজক পরিস্থিতির কবলে পড়ে কীনা তা নিয়ে চিন্তিত কম-বেশি সবাই। পাঠক নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন এখানে কোন সমস্যাটির কথা বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, দেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই এ নিবন্ধের মূখ্য আলোচ্য বিষয়। আসন্ন এ নির্বাচন প্রশ্নে সরকার ও প্রধান বিরোধীদলের পরস্পর বিরোধী মেরুতে অবস্থান করা সচেতন ব্যক্তিরা অশনি সঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন। তারা বলছেন যে, এ প্রশ্নে যদি দেশের রাজনীতির প্রধান নিয়ন্ত্রক দুই বড় দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে আবারো অতীতের দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করলেও একটি বিষয়ে তাদের মনোভাব খুব কাছাকাছি। উভয় দলই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ তা শুরু করেছে প্রকাশ্যে ও আনুষ্ঠানিকভাবে। আর বিএনপি নেতারা মুখে যা-ই বলুন , ভেতরে ভেতরে তারও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। পত্র-পত্রিকার খবর অন্তত তাই বলে।
বিএনপির আাগের দাবি ছিল নির্দলীয় নিরেপক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের। এখন সে সাথে যুক্ত হয়েছে দলীয় চেয়ারপার্সনের মুক্তি। তারা সবাই এক রকম এক বাক্যেই বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবেন না। এ ক্ষেত্রে তাদের দাবি দু’টি। এক. দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে, দুই. তাঁকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে হবে। এ দাবি পূরণ নাহলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না- এমন কথা বিএনপির ছোট-বড় সব নেতাই বলে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা, যারা সরকারের মন্ত্রীও, তারা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আর তিনি দ-প্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কীনা তাও আইন-আদালতের এখতিয়ারভূক্ত। এখানে সরকারের কিছুই বলার বা করার নেই।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ ইতোমধ্যেই মত প্রকাশ করেছেন যে, একটি অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য নির্বান করতে হলে দেশের সব রাজনৈতিক দলের তাতে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। বিএনপি দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের একটি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দলটিকে ¤্রয়িমান বলে মনে হলেও জনসমর্থনের দিক থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বরং অনেকের ধারণা, বর্তমানে বিএনপির জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে দলটি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করবে-এমনটি মনে করেন কেউ কেউ।
অপরদিকে, শাসকদল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে রাজনৈতিক বোদ্ধামহলের মন্তব্য হলো- গত নয় বছরে সরকার উন্নয়নের যে গতি এনেছে, তাতে তাদের জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটারের পারদ যে উচ্চতায় যাবার কথা ছিল তা হয় নি। এজন্য তারা দলটির যুব ও ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীর কার্যকলাপকে দায়ি করছেন। তারা বলছেন যে, গত নয় বছরে সরকারের সব অর্জন ছাত্র-যুবলীগের কার্যকলাপে চাপা পড়ে গেছে। বলাই বাহল্য, এ নিয়ে খোদ শাসকদলেও রয়েছে অসন্তোষ। এমনকি অতিষ্ঠ হয়ে দলের সাধারণ সম্পাদককেও মাঝে মধ্যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করতে হয়।
বিএনপির অভিযোগ- নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি নিশ্চিত এটা বুঝতে পেরেই বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টায় রত হয়েছে সরকার। যাতে ২০০১৪ সালের মত আরেকটি নির্বাচন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে। কারো কারো মতে, সরকার রাজনৈতিক দাবার চালে বিএনপিকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যেতে চায়, যেখান থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া দলটির পক্ষে আর সম্ভব হবে না।
এদিকে পত্র-পত্রিকায় দুই দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কৌশলের খবর প্রতিনিয়তই বের হচ্ছে। আওয়ামী লীগ তাদের প্রস্তুতি বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে জনসভা করেছেন, যেগুলোতে তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এসব জনসভার বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়েছে। তারা বলছেন যে, তিনি সরকারী সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে আগাম নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা অনৈতিক এবং নির্বাচনী আইনের খেলাপ। তারা তাদের আপত্তির কথা নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো ফলোদয় হয় নি। ফলে রাজনীতির মাঠে এখন আওয়ামী লীগ একাই খেলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী সেখানে যেন থেকেও নেই।
অনেকের মনেই প্রশ্ন- শেষ পর্যন্ত হবে কি? বিএনপি কি নির্বাচনে যাবে, নাকি আবারো ২০১৪ সালের মত বর্জনের পথে হাঁটবে? আর বিএনপি যদি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত না-ই আসে, তাহলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান আক্ষরিক অর্থেই সম্ভব হবে কীনা। গত ২০ এপ্রিলের বাংলাদেশের খবরের প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাদশ নির্বাচনে বিএনপির হাবভাব দেখেই আওয়ামী লীগ তাদের পরিকল্পনা চুড়ান্ত করবে। এ মুহূর্তে তারা দু’টি বিকল্প পন্থা রেডি রাখছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে পরিকল্পনা হবে এক রকম, আর বর্জন করলে আরেক রকম। আর সেভাবেই তারা শরিক দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টন করবে।
এদিকে কিছু গণমাধ্যমে খবর বেরুচ্ছে যে, নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রশ্নে বিএনপিতে দ্বিধা বিভক্তি ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শীর্ষ নেতাদের একটি অংশ বেগম জিয়াকে ছাড়াই নির্বাচনে যেতে ইচ্ছুক। আর অপর অংশটি দলীয় চেয়ারপার্সনের মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে কোনোভাবেই অংশ নিতে রাজী নয়। তারা এ মুহূর্তে নির্বাচনের চেয়ে চেয়ারপার্সনের মুক্তির আন্দোলনকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাছাড়া তারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেয়ার প্রশ্নে অনড়। তাদের বক্তব্য হলো- শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই যদি নির্বাচনে যেতে হয়, তাহলে ২০১৪ সালে কেন যাওয়া হলো না? ওই নির্বাচন বর্জন করে যে আন্দোলন করা হয়েছিল, তাতে যেসব নেতাকর্মী নিহত-আহত হয়েছে, জেল খেঁটেছে, তাদের সেই ত্যাগের কী মূল্য থাকলো? বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী মনে করেন নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলটির কোনো লাভ হবে না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল ইতোমধ্যে অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে সেটাকে অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ সুগম করতে হবে। কারণ, বিএনপির মতো একটি বড় এবং জনপ্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক দলকে বাইরে রেখে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা যাবে না। একই কথা বলেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। গত ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘বিএনপির মতো বড় দল অংশ না নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। আমরা অগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ চাই।’ সিইসির সে বক্তব্য সর্বমহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন যে, তিনি বাস্তবতাকে অনুধাবন করে সত্যিটা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বলেছেন, নির্বাচন প্রশ্নে ইসি আর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে াালোচনায় বসবে না এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসার দায়িত্বও ইসির নয়। সিইসির সে বক্তব্য দেশবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। । তবে, অনেকে বলেছেন, সিইসি তার কথার মধ্যে একটু ফাঁক রেখেছেন। তিনি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছেন। কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলেন নি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে তা অংশগ্রহণমূলক হবে সন্দেহ নেই। তবে, তা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে বলা মুষ্কিল। কেননা, বিএনপি অংশ নিলেই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিররেপক্ষ হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। ক্ষমতাসীন দল যদি প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি প্রার্থী ও কর্মীদের মাঠছাড়া করে দেয় কিংবা ভোটের দিন নিরাপত্তার অভাবে বিএনপি কর্মী সমর্থক ভোটারর ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে, তাহলে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিভাবে? ফলে অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, নির্বাচন শুধু অংশগ্রহণমূলক হলেই চলবে না, গ্রহণযোগ্যও হতে হবে।
এটা ঠিক, বিএনপি এখন চরম দুঃসময় পার করছে। চেয়ারপার্সন কারাগারে, তার মুক্তি কবে মিলবে তা অনিশ্চিত। সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান অবস্থান করছেন বিদেশে। শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে মতদ্বৈধতা রয়েছে আন্দোলন ও নির্বাচন প্রশ্নে। সরকার যদি সংবিধান অনুযায়ি তাদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে শেষ পর্যন্ত অনড় থাকে, তাহলে বিএনপি কী করবে তা বলা যাচ্ছে না। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, এ প্রশ্নে আরেকবার ভাঙ্গনের মুখে পড়তে পারে বিএনপি। সরকার নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে বিএনপির একটি অংশকে প্রলুব্ধ করতে পারে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রায়ই প্রকাশ পাচ্ছে। তবে সেগুলো সবই অনুমান নির্ভর।
উল্টোদিকে ক্ষমতাসীনরাও খুব একটা স্বস্তিতে আছে বলে মনে হয় না। টানা দশ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার পর পুনরায় জয়ী হওয়া যেমন তাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ, তেমনি সে নির্বাচনকে অর্থবহ করে তোলাও তাদের বড় দায়। তারা এটা অন্তত উপলব্ধি করতে পারছেন যে, ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন দেশে কিংবা বিদেশে কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। ফলে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে আসুক তারাও সেটা চান। আর এ জন্যই আওয়ামী লীগের নেতাদের অত্যন্ত আস্থার সঙ্গে বলতে শোনা যায়, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।
ক্ষমতাসীনদের এমন আশাবাদ দোষের কিছু নয়। বরং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো পারষ্পরিক আস্থা রেখে চলবে এটাই কাম্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো- বিএনপি কি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে রেখে নির্বাচনে যাবে? স্মরণযোগ্য, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সর্বশেষ সমাবেশে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে তার দল নির্বাচনে যাবে না। তিনি এখন কারাগারে। এ বিষয়ে তার মতামত সরাসরি জানার কোনো উপায় নেই। শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন, তাদের কথাকেই বেগম জিয়ার কথা বলে মেনে নিতে হবে। সেখানে সরকারের কোনো নীলনকশা কাজ করবে কীনা তা বলা যাচ্ছে না।
অবশ্য এটা সত্যি যে, দেশের রাজনীতি এখন অনিশ্চিত পথের যাত্রী। নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে দুই প্রধান দলের যে বিপরীতমুখী অবস্থান, তা দেশবাসীকে শঙ্কিত করে তুলেছে সঙ্গত কারণেই। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা তাদেরকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। কেননা, দেশের সাধারণ মানুষ কোনো সংঘাত চায় না, হানাহানি চায় না। তারা একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ চায়, শান্তিতে বসবাস করতে চায়। আর জনগণের সে চাওয়া পূরণ করতে পারে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। বিশেষ করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এ ক্ষেত্রে প্রধান অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা যদি অনড় অবস্থান থেকে একটু নড়ে পরষ্পরের দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে সৃষ্ট সমস্যার একটি সহজ সমাধান সম্ভব। তবে, সবই নির্ভর করছে শীর্ষ নেতৃত্বের সদিচ্ছার ওপর। আর যদি দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পরষ্পরের দিকে পিঠ দেখিয়ে একই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে রাজনীতির গতিক কি হবে, বলা মুশকিল। তখন উদ্ভূত সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়াও হয়ে দাঁড়াবে কঠিন।
লেখক: সাংবাদিক।
e-mail: mohon91@yahoo.com