ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
যৌন হয়রানির দায়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ৮ স্কুলছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই জিএইচজিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে পড়তো। একই স্কুলের ১৭ জন ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের সত্যতা মেলায় মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুল ইসলাম তাদের স্কুল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। বহিষ্কৃতরা হলো- নিশান, খাব্বার, অপু দাস, সুজন, পিয়াল, সাব্বির,আহসান ও জাবারুল।
ইউএনও কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর আমি মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ে যাই। বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত ৮ ছাত্রকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছি।’
জিএইচজিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, দশম শ্রেণির ওই আট ছাত্র কোনও শিক্ষকের কথা শুনতো না। মেয়েদের নানাভাবে হয়রানি করতো। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিভাবক ডেকে মিটিং করে জানানোও হয়েছে। এরপরও ছেলেগুলো কথা শুনতো না।
তিনি বলেন, ‘গত সোমবার তার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ১৭ জন ছাত্রী মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মহেশপুর থানার ওসি, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেয়। মঙ্গলবার ইউএনও নিজে এসে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আট ছাত্রকে স্কুল থেকে বের করে দেন। তিনি স্কুল থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ম্যানেজিং কমিটিকে নির্দেশ দেন।’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা খুব দুষ্টু। কারও কথা শুনতো না। ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমরা তাদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করেছি।’ ১৭ ছাত্রীর অভিযোগ— বহিষ্কৃত আটজন ছাত্র প্রতিনিয়ত তাদের উত্ত্যক্ত করতো। এ নিয়ে কয়েক দফা অভিভাবক ডেকে বিচার বসিয়েও সমাধান হয়নি। তারা প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি