আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
১২ বছরের কম বয়সী শিশুকে ধর্ষণ করলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত সপ্তাহে আইন সংশোধন করেছে ভারত। শনিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই বিধানের বিষয়টি প্রস্তাব করা হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অধ্যাদেশটি পাস করে।
কিন্তু এই আইন সংশোধনের একদিন পর রোববার রাতে দেশটির রাজধানী দিল্লির শাহবাদের একটি বনভূমি এলাকায় ১৩ বছরের একটি শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আর এই ধর্ষণে সহযোগিতা করেছেন ধর্ষকের গার্লফ্রেন্ড ও ধর্ষিতা শিশুটির ফুফু। ওই মহিলা তার ভাইজিকে এ কাজে প্রলুব্ধ করে আসছিলো। ধর্ষণের আগে শিুশুটিকে এলকোহল মিশ্রিত সফট ড্রিংক পান করতে দেয়। শিশুটি খেতে অস্বীকার করলে তাকে জোর করে পান করানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আর ঘটনাটিও এমন সময় ঘটেছে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১২ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের ধর্ষণের সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের আইন অনুমোদন দেন। এ ঘটনার পর ধর্ষিতা শিশুটির ব্লিডিং হচ্ছিলো। তার বাবা যখন এটা বুঝতে পারেন তখন তিনি দ্রুত শিশুটিকে বাবাশাহেব অ্যাম্বেদকার হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাালে যাওয়ার পর ডাক্তার শিশুটির বাবাকে জানান যে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি। শিশুটি এখন বিপদ মুক্ত। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রজনীশ গুপ্ত বলেছেন, এ ঘটনায় ৩০ বছর বয়সী এক নারীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। আর ধর্ষক মুখোষ কুমারকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গুপ্ত আরও বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩২৮ (অপরাধমূলক অভিপ্রায় সঙ্গে মাদকদ্রব্য দ্বারা ক্ষয়-ক্ষতি), ৫০৬ (অপরাধমূলক তিরস্কার) এবং ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি