নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৪ এপ্রিলকে জাতীয় শ্রমিক নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে জুরাইন কবরস্থানে জড়ো হতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র ও গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তাদের দাবি, এ দিনটিকে জাতীয় শ্রমিক নিরাপত্তা দিবস ঘোষণা করতে হবে।
রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে শ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শ্রমিক নেতারা বলেন, কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা আজও নিশ্চিত করা যায়নি। রানা প্লাজা ধসে নিহত প্রায় ৩০০ শ্রমিককে চিহ্নিত করা যায়নি। তাদেরকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে। আমরা তাদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি। নেতারা আরও বলেন, ‘যারা বেঁচে আছে তাদেরকে সরকারি এবং বিজিএমইএ’র সহায়তায় পুনর্বাসনের দাবি জানাই। এর পাশাপাশি আমরা ট্রেড ইউনিয়ন বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা এখনও তাদের ঠিক মতো স্মরণ করতে পারছি না। নিহতদের স্বজনরা এখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারছে না। তাদেরকে নিয়ে আসতে কোনও চেষ্টা সরকারের দেখছি না। আজকের এই দিনটিকে শ্রমিক নিরাপত্তা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানাই।
সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিল। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বক্তারা বলেন, ইন্ডাস্ট্রি অল মনে করে দোষীদের আজও শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নেতারা আরও বলেন, ‘অত্যন্ত ব্যাথা, বেদনা এবং কষ্ট নিয়ে আমরা প্রতি বছর আসি। আমরা বারবার আসবো। রানা প্লাজার মালিকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি আমরা দাবি করি। এর পাশাপাশি শ্রমিকদের সব প্রকার হয়রানি বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের নেতারা বলেন, ‘শ্রম আইনে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ আছে ১ লাখ টাকা। একজন শ্রমিকের জীবনের মূল্য এত কম হতে পারেনা। শ্রম আইনের ধারা সংশোধনের দাবি জানাই। রানা প্লাজার ঘটনা সারাবিশ্বের মানুষের নজরে এসেছে। আমাদের শ্রমিকরা বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শ্রমিক। অথচ এই শ্রমিকের ঘাড়ে চড়েই বাংলাদেশের ৩০ বিলিয়ন ডলার আয়।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি