আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নিকারাগুয়ায় অবসর ভাতা ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবিতে ডাকা বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ এ দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের হত্যার জন্য পুলিশ তাজা গুলি ব্যবহার করছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, গত চার দিনের বিক্ষোভে ২৫ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিক রয়েছেন। পুলিশের রাবার বুলেট অথবা তাজা গুলি বিদ্ধ হয়েছে ৬৭ জন। এছাড়া আরো ৪৩ ব্যক্তির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের পাশাপাশি সানদিস্তা ইয়ুথসহ সরকার সমর্থক কয়েকটি সংগঠন হামলা চালিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শনিবার রাতে নিকারাগুয়ার উপকূলীয় শহর ব্লু ফিল্ডে লাইভ সম্প্রচারের সময় অ্যাঙ্গেল গাহোনা নামে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ মারা গেছেন।
সম্প্রতি অবসরভাতায় কর্মচারী ও নিয়োগকর্তার অংশ বৃদ্ধি করে সার্বিক সুবিধা কমাতে আইন প্রণয়ন করেছে দেশটির সরকার। এর প্রতিবাদে বুধবার অবসরভোগীরা রাজধানী মানাগুয়ার রাস্তায় নেমে এলে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। পরের দিন অবসরভোগীদের সঙ্গে যোগ দেয় হাজার শিক্ষার্থী ও কর্মচারী। শুক্রবার বিকেলে ও রাতে সহিংসতা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় পাথর ও ব্যানার হাতে থাকা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাজা গুলিও ছোঁড়ে।
লিয়ন শহরের ইউনিভার্সিটি সেন্টার অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর আগে দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছিল। শুক্রবার রাতে এস্টেলি ও মানাগুয়া শহরে সেনা মোতায়েন করেছে সরকার।
এদিকে শনিবার সকালে অজনপ্রিয় এই সামাজিক নিরাপত্তা বিল বাতিলে সম্মতি প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ওর্তেগা। তবে তিনি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য কেবল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসতে রাজী হয়েছেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর