নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় একই রাতে অভিনব কায়দায় ৬টি বাজারের ৭টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব দোকানের বেশিরভাগই ছিল মোবাইলের ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ এজেন্টের দোকান। তবে পুলিশ এসব অভিযোগ স্বীকার করেনি। শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে একযোগে এমন চুরির ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত এবং দুর্ধর্ষ বলেছেন সাধারন মানুষ। তারা বলছেন, আইন-শৃংখলার অবনতির কারনেই এসব চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি যাওয়া এসব বাজারগুলোর মধ্যে রয়েছে মালঞ্চি বাজার, গালিমপুর মোড় বাজার, সাদিমারা বটতলা বাজার, মাকুপাড়া বাজার, বাজিতপুর বাজার এবং জামনগর বাজার।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের সূত্রে জানা যায়, রাতের কোন অংশে দোকানের সাঁটার শক্ত কিছু দিয়ে উঁচু করে এর ভেতরে প্রবেশ করে দোকানে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে চোরেরা। প্রত্যেকটি দোকানে একই কায়দায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত স্ব-স্ব দোকান মালিকরা জানান, জামনগর বাজারের রাসেল আলীর সিয়াম টেলিকমের দোকান থেকে নগদ অর্থ ও মোবাইলফোনসহ প্রায় দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকার মালামাল খোয়া যায়। একই সড়কের বাজিতপুর বাজারে বিশু স্টোরের বিশুর তিনহাজার টাকা, মাকুপাড়া বাজারে মোয়াজ্জেম হোসেনের সার-কীটনাশক ও ফ্লেক্সি লোড এবং বিকাশের দোকান থেকে নগদ প্রায় বিশ হাজার টাকা, একই বাজারের মাসুম আলীর মুদির দোকান থেকে প্রায় এক হাজার টাকা, সাদিমারা বটতলা বাজার থেকে পল্লী চিকিৎসক আঃ সামাদের ফ্লেক্সিলোড এবং বিকাশের দোকান থেকে মোবাইল ফোন সেট ও নগদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা এবং গালিমপুর মোড় বাজারে তুহিনের ফ্লেক্সিলোড এবং বিকাশের দোকান থেকে মোবাইল ফোন সেট ও নগদ অর্থসহ প্রায় ২০ হাজার টাকার মালামাল খোয়া যায়। এছাড়াও মালঞ্চি বাজারে বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের মার্সেল শো রুমের সাঁটার ভাঙলেও কোন মালামাল খোয়া যায়নি বলে জানান দোকান মালিক পিন্টু। তবে প্রত্যেক বাজারে পাহারাদার ছিল বলে তারা জানিয়েছেন।
একই রাতে এক যোগে ৬টি বাজারে এমন চুরির ঘটনায় সাধারন মানুষরা বলছেন, উপজেলায় আইন-শৃংখলার বেশ অবনতি হয়েছে বলেই এমন চুরির ঘটনা ঘটেছে। কোন সংঘ বদ্ধ চক্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এমন দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশাসন তৎপর না হলে ভবিষ্যতে তারা বড় ঘটনার আশংকা করেন ।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোন চুরির ঘটনা ঘটে নাই। তবে জামনগর বাজারের এমন খবরে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাদের নিজেদের সাজানো ঘটনা বলে পুলিশের সন্দেহ হয়েছে। এছাড়া অন্য কোথাও থেকে এমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ