আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহারে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অপরাধীদের স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে কমনওয়েলথ। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সদস্য দেশগুলোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ২৫তম কমনওয়েলথের যৌথ ইশতেহারে বিষয়টি গৃহীত হয়।
ইশতেহারের ৫০তম অনুচ্ছেদে বলা হয়, কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গণহারে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কমনওয়েলথ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং শিগগিরই রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশনের (কফি আনান কমিশন) সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।
উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের নিজদেশে প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিয়ানমারের চুক্তির কথা উল্লেখ করে কমনওয়েলথ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তন শুরুর কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সমাজে সমান সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কথাও বলেন তারা। ইশতেহারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার প্রতি কমনওয়েলথ সদস্য দেশের সরকার প্রধানদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সংহতি জানানো হয়।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স হাইকমিশন ফর রিফিউজি’র মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের টেকসই প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানান কমনওয়েলথ দেশগুলোর প্রধানরা। একইসঙ্গে নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানানো হয়। অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়া বাস্তুচ্যুতে এ জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয় এতে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি