নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আশিকুর রহমানের অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। তবে তার বুকে বিদ্ধ হওয়া গুলি এখনও বের করা হয়নি।
চিকিৎসকরা বলছেন, আপাতত তারা বুকের গুলি বের করা নিয়ে ভাবছেন না। কারণ বুকের ভেতরে থাকা গুলিটিতে আশিকুরের কোনো ক্ষতি হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আশিকুর রহমান। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ৮ এপ্রিল রাত ২টায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকা শিখ সম্প্রদায়ের উপাসনালয় গুরুদুয়ারা নানক শাহীর ঠিক সামনে আশিকুরের বুকে গুলি লাগে। তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুলিতে আশিকুরের যকৃৎ ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আশিকুরের এক সহপাঠী জানান, পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ ছাত্রদের ধাওয়া করছিল সেখানে। এ সময় তার বুকে এসে একটি গুলি লাগে।
তাৎক্ষণিক আশিকুরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
সাত দিন আইসিইউতে থাকার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত সোমবার আশিকুর রহমানকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। আশিকুর বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয়তলার কেবিন ব্লকে ১১/এ কেবিনে রয়েছেন।
একই কেবিনে রয়েছেন আরেক ছাত্র শাহরিয়ার হাসান শাকিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার পীঠে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্প্লিন্টারের ক্ষত। ক্ষতস্থান এখনও শুকায়নি। এ কারণে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে হাসপাতালে। তার অবস্থাও আশঙ্কামুক্ত।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারুক হোসেন জানান, আশিকুর রহমানের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তার বুকের ভেতরে একটি গুলি রয়েছে। এ গুলিটি বের করার প্রয়োজন নেই। গুলিটি ভেতরে থাকলে তার কোনো সমস্যা হবে না। বরং অপারেশনের মাধ্যমে বের করতে গেলে ক্ষতি হতে পারে। এজন্য আমরা আপাতত এ গুলিটি বের করা নিয়ে ভাবছি না।
তিনি বলেন, আশিকুরের অবস্থার আরেকটু উন্নতি হলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে।
একই কেবিনে থাকা শাহরিয়ার হাসান শাকিলের ব্যাপারে তিনি বলেন, তার শরীরের স্প্লিন্টারের ক্ষত এখনও শুকায়নি। তাই তাকেও ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে তার অবস্থাও শঙ্কামুক্ত।