নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে মধ্যরাতে ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো ছাত্রকে হলে ঢুকতে দেয়নি ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ইয়াসিন আরাফাত অন্তর ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী। সুফিয়া কামাল হলের সামনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ শেষে ভোর সাড়ে ৪টায় ফেরার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে ফটক থেকেই ফেরত পাঠায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে হল ত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান ইয়াসিন। রাত দেড়টার দিকেইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসিন একাই প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে হলের ফটকে অবস্থান নেন। পরে রাত ২টার দিকে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা ইয়াসিনের সঙ্গে যোগ দেন। তারা সেখানে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তিনি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
রাতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা শুক্রবার বিকেল চারটায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করলে আরাফাত তার অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন। তারপর হলের দিকে ফেরত যান।
জানা যায়, রাতে ফটকে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষারসহ অনেকে অবস্থান নেন। হলে ঢোকার সময় তারা ইয়াসিনকে ডেকে সতর্ক করেন এবং হলে ঢুকতে বাধা দেন।
ইয়াসিন আরাফাত জানান, ‘প্রতিবাদ করে ফেরার পর ছাত্রলীগের নেতারা আমাকে ডাকেন। বিক্ষোভে কেন গেলাম, তা জানতে চান। হলে উঠলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায়িত্ব নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এ ছাড়া নানা হুমকি দেয়া হয়। আমাকে চলে যেতে বলা হয়। আমাকে রুমে রাখার জন্য রুমমেটকে শাসানো হয়।’
হল সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতাদের শাসানিতে আর হলে আসেননি ইয়াসিন।
জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা হলের প্রশাসন না সিকিউরিটি গার্ড? আর সে যে রুমে থাকে সেটাতে আমার ছেলেপেলেরা কেউ থাকে না।’
সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার বলেন, ‘হলে আরো অনেক ছোটভাই আছে। কিন্তু এ নামে (ইয়াসিন আরাফাত অন্তর) তো কাউকে চিনিই না।’
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি তো এ বিষয়ে জানি না। মাত্র শুনলাম।
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ