মারুফ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সারা দেশে দলীয় সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির কিছুই করতে পারেননি।
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের ওপর চরম দমন-পীড়ন চালিয়েও শেখ হাসিনা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেননি। এটা তিনি সহ্যও করতে পারছেন না। প্রতিহিংসার আগুনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এখন আর্তনাদ করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘গণতন্ত্রহীনতা বনাম জবাবদিহিতা’ শীর্ষক তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে এক মুক্ত আলোচনায় রিজভী এসব কথা বলেন। ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’ এই মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে।
আলোচনায় রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। এখানে রাতের অন্ধকারে যেকোনও তরুণ অদৃশ্য হয়ে যায়। মানুষকে গুম করা হয়। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের তিনজনকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্ট গঠন করেছেন। সেই পার্লামেন্টের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি এত অহঙ্কার করেন! একে ধমকান, ওকে ধমকান। বিরোধী পক্ষকে দেখে নেবেন বলে হুমকিও দেন। কীভাবে তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে আনবেন, এসব কথা বলে বেড়ান।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে। তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) চাইছেন ইউনাইটেড হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হোক। কিন্তু সরকার সেটা দিচ্ছে না।
আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার সময় আছে আর মাত্র আট মাস। এরপর তাকে নির্বাচন দিতে হবে, গদি ছাড়তে হবে। জনগণ বুঝে গেছে, বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া এই দেশকে বাঁচানোর আর কোনও উপায় নেই।