বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
২০০৮ সালে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বিস্ফোরিত হয়ে আসে এক উল্কাপিণ্ড। এটা যেনতেন উল্কাপিণ্ড নয়। একে ঘিরে ঝিকমিক করছে হীরা। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সৌরজগত সৃষ্টির প্রথম দিকে এক হারানো গ্রহের একটি অংশ এই বিশাল হীরকখচিত পাথরখণ্ড।
বিজ্ঞানীরা জানান, সৌরজগত গঠনেরও বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে এই গ্রহটি ছিল। এটা আকার ছিল মারকারি বা মঙ্গলের মতো। ন্যাচার কমিউনিকেশন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাদের এ গবেষণা প্রতিবেদন। বলা হয়, হীরা গঠনের জন্যে যে পরিমাণ চাপ দরকার তা এ ধরনের একটি গ্রহে সুষ্ঠুভাবেই আছে। ২০০৮ সালে উল্কাপিণ্ড টিসি-৩ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে চলে আসে এবং তা উত্তর সুদানের নুবিয়ান মরুভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধরনের আণুবীক্ষণিক পরীক্ষার মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তারা।
এই উল্কাপিণ্ডে যেসব খনিজ মিলেছে তা কেবলমাত্র ২০ গিগাপ্যাসকেল (জিপিএ) চাপেই গঠিত হতে পারে। আর এ ধরনের চাপ কোনো বড় আকারের গ্রহেই হয়। সুইজারল্যান্ডের ইকোলে পলিটেকনিকি ফেডেরালে ডি লসানে’র ফরহাং নাবিই এবং তার গবেষককর্মীরা জানান, মহাকাশ থেকে আসা এত বড় আকারের কোনো পাথরখণ্ড নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা এর আগে হয়নি।
এই উল্কাপিণ্ডের মাধ্যমে আজকের সৌরজগতের আরো একটি তত্ত্ব পাকাপোক্ত হতে চলেছে। তা হলো- এই সৌরজগত অসংখ্য ‘প্রোটো-প্লানেটস’ থেকে গঠিত হয়েছে। মহাশূন্যে এ ধরনের বিস্ফোরণ যাদের মাঝে ঘটেছিল তাদের নাম ইউরেলিটিস। এদের মাত্র এক শতাংশ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে চলে আসার সম্ভাবনা থাকে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, সব ধরনের উইরেলিটিস উল্কাপিণ্ড একই প্রোটো-প্লানেট থেকে এসেছে।
সূত্র : বিবিসি
দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ