নিজস্ব প্রতিবেদক:
অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন এক লাখ ছাড়িয়েছে। গত বছর থেকে অনলাইনে ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা ই-বিআইএন নিতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অনলাইনে এক লাখ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্টরা জানান, অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু হয় এক বছর আগে। মঙ্গলবার দিন শেষে অনলাইনে মোট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৩২টি।
তারা বলছেন, প্রথম বছর সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এ লক্ষ্যে পৌঁছানো গেছে। এর মানে সাধারণ করদাতরা ব্যবস্থাটিকে সাদরে গ্রহণ করেছেন।
অনলাইনে সেবা নেয়ার জন্য ভ্যাট নিবন্ধন বা ই-বিআইএন নেয়ার বিষয়টি অনেকটা অনলাইনে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএনের মতো। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই ব্যবসায়ীরা ভ্যাট নিবন্ধন নিতে পারছেন। এরই মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠানের সনাতন পদ্ধতিতে নিবন্ধন নেয়া আছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকেও এখন নতুন করে অনলাইনে পুনঃনিবন্ধন নিতে হবে। বার্ষিক লেনদেন ৩০ লাখ টাকার বেশি হলেই কেবল এই নিবন্ধন নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে এনবিআরের ভ্যাট নীতির সদস্য ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল হাসান বলেন, ‘অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে একজন করদাতা ঝামেলা ছাড়াই ভ্যাট পরিশোধ করতে পারবেন। এর বাইরে বিভিন্ন ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে এটির প্রয়োজন রয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ভ্যাট প্রদানকারীর সংখ্যা কত সেটা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে সঠিক সংখ্যা বেরিয়ে আসবে’।
সূত্র আরও জানায়, আগে ভ্যাটের যে নিবন্ধন দেয়া হতো এর নম্বর ছিল ১১ ডিজিটের। অনলাইনে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নিয়মে কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নিবন্ধন নম্বর দেয়া হবে এবং তা হবে ৯ ডিজিটের। আগে একই গ্রুপের একাধিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন নিবন্ধন নিতে হতো। অনলাইনের আওতায় সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিবন্ধন অভিন্ন (ইউনিক) হচ্ছে। একটি ব্যবসায়িক গ্রুপের অধীনে যতগুলো সহযোগী প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর জন্য শুধু একটি অভিন্ন ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর দেয়া হয়। মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ লাখ। এর মধ্যে রিটার্ন দাখিল করে মাত্র ৩২ হাজার।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ