নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সিন্ডিকেট পরিচালনায় বিধি লঙ্ঘনসহ নানা প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষকদের ধর্মঘট চলছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া থেকে বিরত রয়েছেন। ধর্মঘটের কারণে কর্মচারী ও কর্মকর্তারা নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি। দুদিনের ধর্মঘটে প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে মঙ্গলবার শিক্ষকদের দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৯টি আবাসিক হলে প্রভোস্ট নিয়োগের প্রতিবাদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের ডাকা ধর্মঘট পালনকালে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পদত্যাগ না করলে ভিসিবিরোধী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আওয়ামীপন্থী শিক্ষাকদের একাংশ সর্বাত্মক ধর্মঘট পালনকালে মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল পরিবহন ডিপোতে বাস চলাচলে বাধা দেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরপন্থী শিক্ষকরা।
বর্তমান উপাচার্যের অনুসারী শিক্ষকরা বাস চলাচল স্বাভাবিক করতে গেলে উপস্থিত শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে শরীফ এনামুল করিবপন্থী ছয় ও ভিসিপন্থী দুই শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর পর সকাল ৮টা থেকে শরীফ এনামুল করিবপন্থী ৩০-৪০ জন শিক্ষক প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন। সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজনা ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করলে তা প্রত্যাখ্যান করেন অবস্থানরত শিক্ষকরা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি