স্পোর্টস ডেস্ক:
লক্ষ্যটা অসম্ভবের পর্যায়েই ছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সামনে। তবুও বিরাট কোহলি-এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো ব্যাটসম্যানরা থাকায় আশায় বুক বেঁধেছিল ব্যাঙ্গালুরুর সমর্থকরা; কিন্তু কোহলি-ভিলিয়ার্সদের সাথে মানদ্বীপ-সুন্দরদের চেষ্টার পরও, ঘরের ২১৮ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। রাজস্থানের বিপক্ষে তারা হেরে গেলো মাত্র ১৯ রানের ব্যবধানে।
এবারের আইপিএলে রান টস জয় মানেই ম্যাচ জয়- এমন সত্যই যেন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। একটি মাত্র ম্যাচ বৃষ্টির কারণে জিততে পেরেছে আগে ব্যাট করা দল। এছাড়া এখনও পর্যন্ত হওয়া বাকি সব ম্যাচেই জয় পেয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দল। এমনকি এক ম্যাচে কেকেআরকে ২০২ রান করেও জয় বঞ্চিত থাকতে হয়েছে। হেরেছে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা চেন্নাইয়ের কাছে। এবারও ২১৭ রান তোলার পর ব্যাঙ্গালুরুর সমর্থকরা প্রত্যাশা করেছিল, কোহলিরা বুঝি এই রানও তাড়া করতে পারবেন; কিন্তু দ্বিতীয়বারেরমত প্রথম ব্যাট করা দল জয় তুলে নিলো এবারের আইপিএলে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন ব্যাঙ্গালুরুর ওপেনার ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তিন নম্বরে নেমে ম্যাচের মোড় ঘুরাতে শুরু করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। মাত্র ২৬ বলে করেন আইপিএল ক্যারিয়ারে নিজের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি; কিন্তু এরপর নিজের ইনিংসকে আর বড় করতে পারেননি। ফলে বিপদে পড়ে যায় তার দলও। ইনিংসের একাদশতম ওভারে দলীয় ১০২ রানে আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি।
এক ওভার পরেই কোহলির পথ ধরেন ব্যাঙ্গালুরুর আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ২০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তখনই মূলতঃ শেষ হয়ে যায় ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের আশা। তবে স্রোতের বিপরীতে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে যান মানদ্বীপ সিং এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। মাত্র ২৮ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা।
কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ চলে যায় রাজস্থানের পকেটে। আউট হওয়ার আগে ১৯ বল খেলে ১ চার এবং ৩ ছক্কার মারে ৩৬ রান করেন সুন্দর। অপরাজিত ইনিংসে ২৫ বলে ৪৭ রান করেন মানদ্বীপ। রাজস্থানের পক্ষে ২টি উইকেট নেন শ্রেয়াস গোপাল। অন্য ৪টি উইকেট নেন বেন স্টোকস, বেন লাফলিন, ডি’আরকি শর্ট এবং কৃষ্ণাপ্পা গোথাম।
তিন ম্যাচ শেষে ব্যাঙ্গালুরুর এটি দ্বিতীয় পরাজয়। অন্যদিকে আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থানের এটি দ্বিতীয় জয়। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে রাজস্থান।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

