বছরের বিশেষ কোনো দিনে ভারত-বাংলাদেশের বাঙালিরা সুযোগ পেলেই মিশে যায় একে অন্যের সঙ্গে। ভৌগোলিক সীমারেখার বেড়াজালে বন্দি হাজার হাজার মানুষ মিলিত হন কাঁটাতারের বেড়ার উভয়পাশে। কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি বিনিময় করেন নানান উপহার সামগ্রী। দীর্ঘদিন পর স্বজনদের কাছে পেয়ে আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।
প্রতি বছরের মত এবারও পঞ্চগড়ে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দুই দেশের বাঙালিদের এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছেপঞ্চগড়ের ৪টি সীমান্তে। সদর উপজেলার অমরখানা ও মাগুরমারী সীমান্তে এবং তেতুলিয়া উপজেলার সুকানি ও ভুতিপুকুর সীমান্তে রবিবার তাদের মিলিত হতে দেখা যায়।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর অনেকের আত্মীয়-স্বজন উভয় দেশে থেকে যায়। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নির্মাণ করায় অনেকেরই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। পাসপোর্ট করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভারত বা বাংলাদেশে যাতায়াত করে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করা ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই দুই বাংলার মানুষ এই বিশেষ দিনটিতে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল আল হাকিম মো. নওশাদ জানান, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের মিলনমেলা হয়ে থাকে। দুই দেশের নাগরিকরা যাতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায় এজন্য আমরা বিএসএফ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এই মিলন মেলার আয়োজন করে থাকি।দৈনিক দেশজনতা/ টি এইচ